প্রয়োজন ছিল বিশাল ব্যবধানে জয়। শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর হয়তো অভাবনীয় কিছুর আশায় বুক বেঁধেছিল ইতালি। তবে বাকি সময়ে আর জালের দেখাই পেল না তারা। অনেকটা সময় ধরে নিজের ছায়া হয়ে থাকা আর্লিং হলান্ড মুহূর্তের ঝলকে করলেন জোড়া গোল, নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। আরেকটি জয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল নরওয়ে।
মিলানে রোববার রাতে বাছাইপর্বের শেষ রাউন্ডে নরওয়ে জিতেছে ৪-১ গোলে।
নরওয়ে চারটি গোলই করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। হলান্ডের আগে-পরে অন্য দুটি গোল করেছেন আন্তোনিও নুসা ও ইয়োর্গেন স্ত্রান লারসেন। ইতালির একমাত্র গোলদাতা এসপোসিতো।
১৯৯৮ আসরের পর আগামী বছর আবার বিশ্বকাপে খেলবে নরওয়ে। আট ম্যাচের সবগুলো জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করল তারা।
১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা ইতালিকে খেলতে হবে প্লে-অফে। টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে না খেলতে পারার ঝুঁকিতে এখন চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গত দুইবারই প্লে-অফে হেরেছিল তারা।
নরওয়েকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে শেষ রাউন্ডে ৯ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো ইতালিকে। একাদশ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শটে এগিয়ে যায় তারা।
নরওয়ের বক্সের বাইরে তাদের এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফেদেরিকো দিমার্কোর পাস ছয় গজ বক্সের বাইরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, শরীর ঘুরিয়ে নিচু শটে জালে পাঠান এসপোসিতো।
আগের ম্যাচে মলদোভার মাঠে ২-০ ব্যবধানের জয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন ২০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য আর কোনো শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ইতালি। এই সময়ে নরওয়ে শট নিতে পারে মাত্র একটি, সেটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৬৩তম মিনিটে প্রথম শট লক্ষ্যে রাখতে পারে নরওয়ে এবং তা থেকে চমৎকার গোলে দলকে সমতায় ফেরান নুসা। আলেকসান্দার সরলথের পাস ধরে এগিয়ে প্রতিপক্ষের দুজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৭৮তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে বক্সে ভলিতে দলকে এগিয়ে নেন হলান্ড। পরের মিনিটেই আরেকটি শটে ব্যবধান বাড়ান ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলের আট ম্যাচের প্রতিটিতেই গোল করলেন হলান্ড এবং এখানে দলের ৩৭ গোলের ১৬টিই করলেন তিনি।
বাছাইপর্বের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন হলান্ড। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১৬ গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবের্ত লেভানদোভস্কিও।
৮৯তম মিনিটে হলান্ডের বদলি নেমে যোগ করা সময়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন লারসেন। ডান দিকে প্রায় মাঝমাঠের কাছে বল পেয়ে এগিয়ে যান তিনি। তার সামনে ছিল প্রতিপক্ষের একজন। বক্সে ঢুকে সেই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল জলে পাঠান ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
এমআর/টিকে