ড্যারেল মিচেল ১১৯ রান করেছিলেন চাপের মধ্যে থেকে। ২৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নেমে দলের আড়াইশ পার হওয়া নিশ্চিত করেন তিনি। অন্য কেউ হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত করতে পারেননি। শুধু এই ওয়ানডেতে নয়, মিচেল শেষ ৪ ওয়ানডের ৩টিতেই দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৮ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৬। শেষ ৪ ওয়ানডের মধ্যে হাফসেঞ্চুরি মিস হওয়া একমাত্র ম্যাচেও করেন ৪৪। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল তো ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিরই দেখা পেলেন। ফ্যানদের জন্য দুঃসংবাদ, মিচেলকে বিরতি নিতে হচ্ছে। কুঁচকির চোটে পড়েছেন তিনি।
ক্রাইস্টচার্চে মিচেল গতকাল প্রথম ওয়ানডেতেই অস্বস্তি অনুভব করেন। সেঞ্চুরি করে এরপর মাঠে নামেননি। নিউজিল্যান্ড তাকে আপাতত ক্রাইস্টচার্চেই রাখছে। কুঁচকিতে স্ক্যান করা হবে, এরপর জানা যাবে বিস্তারিত। অর্থাৎ শেষ দুই ওয়ানডেতে তার আর খেলা হচ্ছে না।
শঙ্কা হচ্ছে, চোট থেকে ফিরলে সঙ্গে ফর্মও নিয়ে ফিরতে পারবেন কি না। ওয়ানডেতে এই বছর তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১৬ ইনিংসে ৫৪.৩৫ গড় ও ৮৬.১৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৭৬১ রান। ৮০৮ রান করে তার চেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ডের জো রুট।
নেপিয়ারে দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ১৯ নভেম্বর, ২২ নভেম্বর তৃতীয় ম্যাচ হ্যামিল্টনে। এই ম্যাচের জন্য মিচেলের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে হেনরি নিকোলসকে। নিকোলস শেষবার ওয়ানডে খেলেছেন গত এপ্রিলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তিন ম্যাচে তার স্কোর ছিল যথাক্রমে ১১, ২২ ও ৩১।
মিচেলের ১১৯ রান করার ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড জিতে ৭ রানে। ৭ উইকেটে ২৬৯ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ২৬২ রান করতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এমআর/টিকে