জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সনাতনী শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক ট্যাগিং ও বুলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জকসুতে ভিপি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ অভিযোগ তুলে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে একটি বিষয় লক্ষ্য করছি- আমি মনোনয়ন তোলার সঙ্গে সঙ্গে একটি গোষ্ঠী আমাকে সংখ্যালঘু হিসেবে ট্রিট করছে, আর তাদের একটাই উদ্দেশ্য আমাকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ট্যাগ দেওয়া। আপনাদের এ ধরনের মানসিকতার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জকসু শিক্ষার্থীদের সংসদ, এখানে যেকোনো শিক্ষার্থী নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করতেই পারে। তারই অংশ হিসেবে আমিসহ আরও কয়েকজন সনাতনী শিক্ষার্থী বিভিন্ন পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি গোষ্ঠী আমাদের নিয়ে একের পর এক প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি আপনাদের হীন মানসিকতার পরিচয়।’
জকসুতে সনাতনী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের নোংরামি বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়ে চন্দন কুমার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি চায় আমাকে তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তাহলে তাতে আপনাদের সমস্যা কী? দয়া করে জকসু নিয়ে আপনাদের এ ধরনের নোংরামি বন্ধ করুন।’
এর আগে গতকাল ১৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচনে ভিপি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেইজ থেকে হিন্দু শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে একের পর এক নেগেটিভ পোস্ট আসতে থাকে। জবিয়ান্স নামে একটি পেইজে আজ সকাল ১১টার দিকে একটি পোস্টে বলা হয় ছাত্রদল সমর্থিত ছাত্র অধিকার পরিষদের ভিপি প্রার্থী একেএম রাকিবকে ঠেকাতে দুইজন হিন্দু প্রার্থীকে শিবির দাঁড় করিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। শুধু জবিয়ান্স পেইজই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও নামে বেনামে একাধিক পেইজ থেকেও সনাতনী প্রার্থীদের টার্গেট করে বুলিংয়ের অভিযোগ উঠছে।
এ বিষয়ে জকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী বলেন, মাত্রই শুনলাম এ বিষয়ে। ওই প্রার্থী যদি নির্বাচন কমিশন বরাবর তার বুলিংয়ের বিষয়ে অভিযোগ দেয় তাহলে অভিযোগ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে কমিশন৷
পিএ/এসএন