গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন ও সংসদকে ক্ষমতা দেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে গণভোট আগে হোক বা অন্যান্য ভোটের সঙ্গে একই দিনে হোক—উদ্দেশ্য একই, তাই শিল্পসম্মত প্রস্তুতি ও জাতীয় ঐকমত্য নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গণসংহতি আন্দোলনের পটুয়াখালী–২ আসনের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমজাদ হোসেনের দাফন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, “গণভোট আগে করলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে—কত ভোটার যাবে, আয়োজনের সময় পাওয়া যাবে কি না, খরচ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, জাতীয় সনদ জনগণের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছাল কি না—এসব মিলিয়েই আমরা একই দিনে গণভোটের দাবি করেছিলাম।”
তিনি জানান, জুলাই জাতীয় সনদে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং পরবর্তী আদেশে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে—তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনে করছে। সাকি বলেন, “আমরা আহ্বান করেছি—যে কোনো সিদ্ধান্তই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিতে হবে। কারণ আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করেছি ঠিকই, কিন্তু ফ্যাসিবাদী কাঠামো এখনো আছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এমন ব্যবস্থা চাই যেখানে জনগণই হবে ক্ষমতার উৎস। জনগণ তাদের প্রতিনিধি জবাবদিহির মধ্যে রাখবে, জনপ্রতিনিধিরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।”
সাকি বলেন, “এ রকম ব্যবস্থা চাইলে জাতীয় ঐকমত্য অপরিহার্য। একক কোনো দল দিয়ে এটা সম্ভব নয়। আমি যা ভাবি, তা সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”