ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। প্রতিদিনই শহরটির বাতাসের মানের অবনতি এবং তা ‘বিপজ্জনক মাত্রায়’ পৌঁছানোর পর এবার সেখানকার সব স্কুল-কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। এই নির্দেশনার ফলে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসজুড়ে দিল্লিতে সব ধরনের শারীরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লির বাতাসের মান দ্রুত খারাপ হওয়ায় রাজধানীর সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্রীড়া সংস্থাকে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে নির্ধারিত সব শারীরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (সিএকিউএম)–এর নির্দেশনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এনসিআর অঞ্চলের রাজ্য সরকার ও দিল্লি প্রশাসনকে অবিলম্বে এসব প্রতিযোগিতা স্থগিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে, কারণ এই এলাকায় দূষণের মাত্রা অত্যন্ত বেড়ে গেছে।
এর আগে গত বুধবার এক সার্কুলারে দিল্লির শিক্ষা ও ক্রীড়া অধিদপ্তর জানায়, সরকারি, বেসরকারি, অনুদানপ্রাপ্ত সব স্কুল এবং এমসিডি, এনডিএমসি ও দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সিএকিউএম–এর পরামর্শ কঠোরভাবে মানতে হবে। জাতীয় ফেডারেশন বা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং ক্রীড়া সংগঠনগুলোকেও একই নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার দিল্লির বাতাস ‘খুবই খারাপ’ অবস্থায় ছিল। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানায়, এদিন শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৭০। এর আগেই কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন, বাতাসের মান ‘অতি গুরুতর’ পর্যায়েও নেমে যেতে পারে।
একিউআইয়ের সূচক অনুযায়ী, বায়ুর মান ৪০০’র ওপরে চলে গেলে সেটিকে ‘গুরুতর’ অথবা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে মনে করা হয়। এই স্তরে বাতাসে ক্ষতিকর পিএম ২.৫ কণার উচ্চ ঘনত্ব থাকে এবং এসব কণা ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।
এবি/টিকে