শেষ বলে প্রয়োজন ৪ রান। অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক আকবর আলী অহেতুক স্টাম্প ভাঙতে গিয়ে ভারতকে পাইয়ে দিলেন তৃতীয় রানের দেখা। তাতে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের সেমিফাইনাল হয়ে গিয়েছিল টাই। শেষপর্যন্ত সুপার ওভারে ঐ ম্যাচ জিতলেও আকবর এখনো মানতে পারছেন না, কী করে এমন ভুল করলেন।
দেশে ফিরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ 'এ' দলের অধিনায়ক কথা বলেছেন ফাইনাল ম্যাচ নিয়েও। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। তবে সেমিতে ভারতকে হারাতে পারলেও ফাইনালে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে।
আকবর বলেন, 'ফাইনালে যে অবস্থায় ছিলাম জেতার মতো পরিস্থিতি ছিল। বেশিরভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল আরও কম করলে বলতাম পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলেছি। তবে সেটা বলছি না।'
এভাবে হেরে গিয়ে ম্যাচ শেষে সবাই হতাশ হয়েছে জানিয়ে অধিনায়ক বলেন, 'অবশ্যই সবাই হতাশ ছিল। খেলোয়াড়, কোচ সবাই। যে জায়গা থেকে ম্যাচে ফিরেছিলাম। ঐ পরিস্থিতিতে যাওয়ারই কথা ছিল না। যেখান থেকে কামব্যাক করেছি, সেখান থেকে শেষে সুপার ওভারে হারা এটা অবশ্যই সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেওয়ার, শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।'
'দুরকমই বলতে পারেন। আমি বলব, সোহানকে পাঠিয়েছি, সোহান পুরো টুর্নামেন্টেই আমাদের সেরা ব্যাটার ছিল। সোহানকে ঐ জায়গা থেকেই পাঠানো। ঐ সময় মনে হয়েছে সাকলাইন খুব ভালো টাচে ছিল ঐ ম্যাচে। অলরাউন্ডার অনেকেই ছিল, সাকলাইন, রাকিবুল, মৃত্যুঞ্জয় বা রনি ভাই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাইনি, ঐ ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছে। মনে হয়েছিল সাকলাইন যেহেতু ভালো টাচে আছে, এ কারণেই ওকে পাঠানো হয়েছে।'
সুপার ওভারে আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও হাবিবুর রহমান সোহানকে ক্রিজে পাঠানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আকবর।
'আমার মনে হয় না সুপার ওভারে কোনো দলই সেভাবে অভ্যস্ত। সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। খুবই দুর্লভ ব্যাপার যে টানা দুই ম্যাচে খেলেছি। প্রথম ম্যাচে ১ রানই টার্গেট ছিল। সুপার ওভারে শটস খেলতেই হবে। যারাই যাবে শটস খেলতেই হবে। ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হবে। অনেক সময় ক্লিক করে অনেক সময় করে না। আমি ব্যাপারটা এভাবেই দেখছি।'
এ সময় তিনি কথা বলেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের ঐ ভুল নিয়ে, যার কারণে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। তিনি জানান, 'ঐ মুহূর্তে কী হয়েছিল জানি না। ওটা কেন করেছি এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। হয়ে গেছে। যে ভুল করেছি এটা একদমই, ১২ বছরের বাচ্চারও ভুল না। কোনো ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। ভুল করেছি, এ কারণেই ক্ষমা চেয়েছিলাম।'
ইএ/টিকে