চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল এবং লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার (২৬শে নভেম্বর) বন্দরের প্রবেশপথে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল জানিয়েছেন, পূর্বঘোষিত এই অবরোধ কর্মসূচি মাইলের মাথা (সিমেন্স হোস্টেল), টোল রোডের টোলপ্লাজা গেট ও বড়পোল এলাকায় পালন করা হবে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্দরের একদম কাছাকাছি কোনো কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্কপ নেতাদের বৈঠক হলেও তাতে কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে গত শনিবার ঘোষিত এই কর্মসূচি পালনে অনড় রয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে, স্কপের এই কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাম জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বন্দর অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে সই করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতনসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, 'বিদেশি কোম্পানির কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার চুক্তিতে কী আছে, আমরা জানি না। কিন্তু বন্দরের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। বন্দর ব্যবস্থাপনা ও টার্মিনালগুলো বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই।' সরকারকে এই চুক্তির সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
একই সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, 'এখনও ৯০ দিন সময় আছে। আপনারা (সরকার) বিদেশি কোম্পানির কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার চুক্তি বাতিল করুন।' মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইএ/এসএন