দুজনের বয়স ১৮ বছর। বর্তমান সময়ের উঠতি তারকা দুজনেই। মাঠে যখন তারা মুখোমুখি, তখন নজরও তাদের দিকে থাকা স্বাভাবিক। তবে আলো কাড়লেন শুধু একজন, এস্তেভাও। আরেক টিনএজ তারকা লামিনে ইয়ামালকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। ‘মেসিনিয়ো’ হিসেবে পরিচিত এস্তেভাও চোখ ধাঁধানো গোল করে স্বাভাবিকভাবে প্রশংসিত হলেন। আর কোচ এঞ্জো মারেস্কাকে শুনতে হলো একটি চর্চিত প্রশ্ন- এস্তেভাও কি পরের মেসি, রোনালদো?
বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। তিন গোলের মধ্যে নজর কেড়েছে দ্বিতীয়টি। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে রিচি জেমস ডানদিকে এস্তেভাওয়ের কাছে বল বাড়ান। প্রথমে পাও কুবারসিকে কাটিয়ে আলেহান্দ্রো বালদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও দমে যাননি ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার। ডানপায়ের অদম্য শটে জাল কাঁপান তিনি। যে গোলটি পশ্চিম লন্ডনে লম্বা সময় সবার মুখে মুখে থাকা অস্বাভাবিক নয়।
ওই গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে তৃতীয় টিনএজার হিসেবে প্রথম তিন ম্যাচে গোল করলেন এস্তেভাও। তিনি যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হালান্ডের কীর্তির তালিকায়।
এস্তেভাও দারুণ এক গোল করে মেসির সঙ্গে তুলনীয় হচ্ছেন। আর এই তুলনায় আপত্তি জানালেন মারেস্কা, ‘এস্তেভাওয়ের আরাম দরকার। তাকে উপভোগ করতে হবে, তার (ট্রেনিং) সেশন প্রয়োজন। তাকে ফুটবল খেলতে হবে। সে, লামিনে অনেক ছোট, ১৮ বছর। যদি এখনই মেসি ও রোনালদোকে নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আমি মনে করি তাদের মতো ছোট ছেলেদের ওপর এটা অনেক চাপ তৈরি করবে। তাদেরকে উপভোগ করতে হবে, ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এসে হাসিমুখে সেশন করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখন আপনি মেসি কিংবা রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করবেন, সেটা তাদের জন্য বাড়াবাড়ি হবে।’
এই মৌসুমে পালমেইরাস থেকে চেলসিতে যোগ দিয়ে পাঁচ গোল করলেন এস্তেভাও। কিন্তু মঙ্গলবার রাতটা ছিল বিশেষ।
তিনি বললেন, ‘আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সবকিছু অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। কিছু জায়গা বের করে আমার মতো করে খেললাম। আশা করি অনেক বছর ধরে গোল করে যাব। এটা সত্যিই অসাধারণ রাত ছিল। আমার ক্যারিয়ারে (গোলটি) ছিল আমার জন্য বিশেষ মুহূর্ত।’
ইএ/এসএন