আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দিনাজপুরে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। বিএনপি-এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা শুরুর পর থেকেই প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রচার চালাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসন। বিএনপি খালি রাখায় এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একক প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের
এরই মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ডা. আব্দুল আহাদ। এনসিপির পক্ষ থেকে আরও যেসব নেতা জেলার অন্যান্য আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন তারা হলেন: দিনাজপুর-২ এ ইসমাইল হোসেন ও এম এ তাফসির হাসান, দিনাজপুর-৩ এ মুক্তাদির ইসলাম, দিনাজপুর-৪ এ সোহেল সাজ্জাদ।
তবে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী আসনটি বিএনপি শূন্য রাখায় ডা. আহাদকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এমন আলোচনা আছে যে, এনসিপি যদি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়, তাহলে এ আসনে ডা. আহাদ একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো।
অন্যদিকে দিনাজপুর-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন নেতাও আলোচনায় আছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে নির্বাচন করে আসছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এজেডএম রেজওয়ানুল হক। নতুন মুখ হিসেবে মাঠে নেমেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি ও তারেক রহমানের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার একেএম কামরুজ্জামান জামান; যিনি গত এক বছর ধরে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এবং ফুলবাড়ীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি।
বিএনপি এখন পর্যন্ত ২৩৭টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করলেও দিনাজপুর-৫ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি দিনাজপুর-১ এ মো. মনজুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ এ মো. সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, দিনাজপুর-৩ এ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দিনাজপুর-৪ এ মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া এবং দিনাজপুর-৬ এ অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে দিনাজপুর-৫ আসনটি জেলার ভিআইপি আসন হিসেবে বিবেচিত। এ আসনজুড়ে রয়েছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন, তেল ডিপোসহ একাধিক কৌশলগত স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে এই আসন থেকেই জেলার রাজনীতি প্রভাবিত হয়ে আসছে।
এসএস/টিএ