একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বাড়ছে ভোটকেন্দ্র, বুথ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ভোটকেন্দ্র, বুথের সংখ্যা এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা নির্ধারণ করছে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিস।
এরইমধ্যে, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাড়তি ভোটকক্ষ ও কেন্দ্র এবং বাড়তি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্র।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা ভোটকেন্দ্র এবং বুথ সংখ্যা আগে যা নির্ধারণ করেছিলাম। এখন গণভোটও একই দিনে হওয়াতে আবার কেন্দ্রের সংখ্যা এবং বুথের সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। এ সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়বে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগে একটি নারী বুথে ৫০০ জন এবং পুরুষ বুথে ৬০০ জনকে ভোটার নির্ধারণ করা ছিল। এখন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান একই দিনে, তাই প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা কমানো হবে। এতে বুথের সংখ্যা বেড়ে যাবে। বুথের সংখ্যা বাড়লে কেন্দ্রও বাড়বে। ফলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের সংখ্যাও বাড়বে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২ হাজার ৩৮৭টি বুথের মধ্যে পুরুষ বুথের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৪৫টি এবং মহিলা বুথের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৪২টি। এরমধ্যে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৫৭টি।
মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, ভোটগ্রহণের জন্য আমাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা লাগবে ৪৩ হাজার ১০২ জন। এরমধ্যে আমরা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে ৪৫ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছি। এখন এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এরইমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য ১ হাজার ৯৬৫টি ভোটকেন্দ্র এবং ১২ তাকার ৩৮৭টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতকৃত ভোটকেন্দ্রেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসাররাই গণভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। শুধু পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যা বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই ‘গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে। একই দিনে দেশের প্রায় ১৩ কোটির বেশি ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন।
গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে দুই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। এরপরই গণভোটের অধ্যাদেশ তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। গত মঙ্গলবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশের খসড়া নীতিমালা অনুমোদন পায়।
এমকে/এসএন