দেশের ১১টি জেলায় ৪৪টি নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৫ মাসের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। একেকটি লাইব্রেরির নির্মাণ ব্যয় ৫৩ লাখ টাকা। প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে লাইব্রেরিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উত্তরবঙ্গে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশেরও কম। মূলত লাইব্রেরি নির্মাণের পকল্পটা উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করেই নেয়া। যদিও আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, প্রত্যেকটি উপজেলায় এই লাইব্রেরি করা হবে। জুলাই আন্দোলনের আমাদের ব্যানারের নাম ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এট শিক্ষার ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের অবসান ঘটানোর একটা ছোট্ট উদ্যোগ। এটা হয়তো বিস্তৃত কিছু নয়, তারপরও উপজেলাগুলোতে জ্ঞানচর্চার একটা জায়গা তৈরি হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভালো বই সঠিক পথ দেখায়। শিক্ষিত, মানবিক ও সৃজনশীল প্রজন্ম গড়ে তুলতে লাইব্রেরিগুলো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। বাকি সব উপজেলায় এক বছরের মধ্যে এমন লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নবৈষম্য কমাতে। দেশের গড় দারিদ্র্য হার ১৯ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য হার ২৫ শতাংশ। কিছু উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশেরও কম। সেই প্রেক্ষাপটে লাইব্রেরি নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। লাইব্রেরিগুলো কেবল বই রাখার স্থান নয়, এগুলো জ্ঞান চর্চায়, গবেষণায় ও সৃজনশীল চিন্তার ক্ষেত্রে কাজে আসবে।
উল্লেখ্য, রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ মোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে।
টিজে/টিকে