বাংলাদেশের মানুষ এখন আর বিভাজন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ডার্টি পলিটিক্স দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি দাবি করেছেন, গতানুগতিক রাজনীতির ব্যর্থতায় জনগণের আস্থা হারানো দলগুলোর বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী এখন দেশের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসন আয়োজিত এক যুব-ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর পুরাতন ব্যবস্থা দেখতে চায় না, যা ছিল বিভাজন, ট্যাগ লাগানোর রাজনীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন এবং ধর্ষণের রাজনীতি। বিগত ৫৪ বছরের রাজনীতি ছিল গণমানুষকে প্রতারণা ও ধোঁকা দেওয়ার রাজনীতি।
বিগত দিনে শাসন করা তিনটি বড় দলের মধ্যে একটি দল এখনো ক্ষমতায় যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা শুধু অভ্যন্তরীণ হানাহানিতে প্রায় দুই শতাধিক লোকের জীবন কেড়ে নিয়েছে। এমনকি যখন একজন এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়, তখন বাকি ১১ জন জনগণের ওপরে হামলে পড়ে, সিএনজি ও বাসের উপরে হামলা করে।
তিনি গত জুলাই আন্দোলনে জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান সাহেব মধ্য জুলাই থেকে তার মন, মানসিকতা, চিন্তাধারা, অর্থনৈতিক এবং সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে এই আন্দোলনকে সফল করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যে সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় বর্তমান সরকার তা অবৈধ ঘোষণা করে জামায়াতকে বৈধ ঘোষণা করেছে। জামায়াত কোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন এবং জনপ্রিয় প্রতীক দাড়িপাল্লা ফিরে পেয়েছে।
সমাবেশে ভাষানটেক মোড় থেকে ১৪ নম্বর মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তা লোকে লোকারণ্য ছিল উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, যা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
এসএন