পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ নেতা ইমরান খানের মুক্তি চেয়েছেন তার ছোটো ছেলে কাসিম খান। বাবার মুক্তি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় কাসিম বলেন, “গত ৬ সপ্তাহ ধরে আমার বাবা পাকিস্তানের কারাগারের ডেথ সেলে বন্দি আছেন এবং তাকে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। আদালতের অনুমোদন সত্ত্বেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তার বোনরা এবং অন্যান্য স্বজনরা। আমরা তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে পারছি না, সাক্ষাৎ করতে পারছি না এমন কি তিনি কেমন আছেন- তা ও জানতে পারছি না। আমি এবং আমার ভাই (সুলাইমান ইসা খান) বাবার সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছি না।”
“আমি স্পষ্টভাবে বলছি- বাবার নিরাপত্তাহীনতা এবং যে অমানবিক বিচ্ছিন্ন পরিবেশে আমার বাবাকে রাখা হয়েছে- তার আইনগত, আদর্শগত এবং আন্তর্জাতিক, এককথায় সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের সরকারকে নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, কিংবদন্তী ক্রিকেটার থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পর। তবে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের শীর্ষ নির্বাহীর পদে কে আরোহন করবেন- তা নিয়ে সেনবাহিনীর সঙ্গে দন্দ্বের জেরে সংকটে পড়েন তিনি। পরে ২০২২ সালের পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থাভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
এদিকে ক্ষমতা হারানোর পরপরই একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সেসব মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে আছেন তিনি।
ক্রিকেটার জীবনে ‘প্লেবয়’ ইমেজ ছিল ইমরান খানের। তবে সেই ইমেজ ঝেড়ে ফেলে রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে ১৯৯৫ সালে ব্রিটেনের নাগরিক জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন ইমরান খান। পরে ২০০৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সুলাইমান ইসা ও কাসিম এই দম্পতির সন্তান।
জেমিমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আরও দু’বার বিয়ে করেছেন ইমরান। অন্যদিকে জেমিমা পাকিস্তান থেকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে পেশাদার লেখালেখি, চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণে মন দেন। সুলাইমান ও কাসিম তাদের মায়ের সঙ্গেই থাকেন।
টিজে/টিকে