চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক মন্তব্যেই প্রকাশ পেয়েছে তারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাজানো নির্বাচনের নীলনকশা আঁটছে। এই চক্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত এবং প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তারা কখনো পিআর পদ্ধতির কথা বলে, কখনো গণভোটের দাবি তোলে। আবার ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে রাত দিন প্রচারণা চালাচ্ছে।
তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তারা ধর্মকে ব্যবহার করছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। ভোটের মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা যেভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে ব্যালট বাক্সে ভরেছিল, জামায়াতও সেই পথেই হাঁটতে চাইছে। শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘীস্থ জেলা পরিষদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনের ভোটারদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে কোতোয়ালি থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণসংযোগ পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণসংযোগ উপলক্ষে জেলা পরিষদ চত্বরের সমাবেশে জুমার নামাজের পর থেকেই চট্টগ্রাম ৯ নির্বাচনী এলাকার কোতোয়ালি থানার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। সমাবেশ শুরুর আগে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সমাবেশ শেষে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লালদিঘীর পাড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে বক্সি বিট হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়, চেরাগি মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ করেন। তিনি পথচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শাহজাহান চৌধুরী জামায়াতের অনেক কুখ্যাত ঘটনার নায়ক। তিনি রাজাকারের বংশধর। শাহজাহান চৌধুরী বলছেন, পুলিশ প্রশাসন নাকি জামায়াতের কথায় উঠবে বসবে।
এমন বক্তব্যই প্রমাণ করে, তারা কেন্দ্র দখল ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। রাজাকারের বংশধর হয়েও তিনি হুমকি দিয়ে বলছেন, যারা তাঁকে চিনে না তারা নাকি মাটির নিচে বাস করে। আমরা তাঁকে খুব ভালোভাবেই চিনি। তাঁর রক্তে রঞ্জিত অতীত, রগ কাটার ইতিহাস চট্টগ্রামের মানুষ ভুলে যায়নি।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জামায়াত যে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় নিজস্ব লোক বসানোর চেষ্টা করছে, বিএনপি তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যারা জামায়াতের হয়ে কাজ করছে তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ওই ধরনের কাউকে সামনে রেখে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপত্বিতে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য খোরশেদ আলম, ইসমাইল বালি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি লায়ন আর কে দাশ রুপু প্রমুখ।
টিজে/টিকে