আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজে হার বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত। সাইফ হাসানকে নিয়ে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে নন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ডেথ ওভাবে বোলারদের আরও ভালো করতে হবে বলে মত তার। এছাড়া সিরিজ শুরুর আগে প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়কের স্কোয়াড নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য মাঠের খেলায় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন নান্নু।
টানা ৪ সিরিজ জয়, আবার টানা ৪ ম্যাচ হার। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই হারটা বাংলাদেশের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে ব্যাটিং অর্ডারের অবস্থা কতটা নাজুক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
শর্টার ফরম্যাটের মেগা আসরের আগে এটাই টাইগারদের সবশেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। যেখানে দু-এক জায়গায় ফাইন টিউনিংয়ের জন্য এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ওপেনিংয়ে ফর্মে থাকা সাইফকে চারে খেলানো অযৌক্তিক। সাবেক প্রধান নির্বাচকের কাঠগড়ায় বোলারদের ডেথ ওভারের পারফরম্যান্সও।
নান্নু বলেন, ‘ব্যাটিংটা যথেষ্ট হতাশাজনক ছিল। বোলাররা ডেথ ওভারে ভালো বোলিং করতে পারেনি। (সাইফ) স্পিন যেহেতু ভালো খেলে তাই হয়তো মিডল অর্ডারে চিন্তা করা হয়েছে। তবে ও যেখানে সেটেলড সেখানে খেলানো উচিত ছিল। এক্সপেরিমেন্ট করাটা ঠিক হয়নি।’
অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়ানোর আগেই তৈরি হয়েছিল জটিলতা। শামীম হোসেনকে স্কোয়াডে না রাখার প্রসঙ্গে মুখোমুখি ক্যাপ্টেন ও প্রধান নির্বাচক। যার প্রভাব পড়েছে মাঠের খেলায়। ঘরের খবর বাইরে কেন সেই প্রশ্ন নান্নুরও।
তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচক প্যানেলের যে আলোচনাটা হয়, এটা ঘরের মধ্যে হয়। আমরা যতদিন কাজ করেছি, খবর বাইরে আসেনি। এভাবে মিডিয়াতে এসে বলাটা, আবার নির্বাচক প্যানেল থেকেও উত্তর দেওয়া; সিরিজের আগে এটা উচিত হয়নি। এটা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করা যেত। অবশ্যই অধিনায়কের একটা পরামর্শ থাকে, প্রধান কোচেরও থাকে। ওদের কি পরিকল্পনা, সেটা অনুযায়ী-ই সিরিজের দল গঠন করা হয়।’
এদিকে, নানা আলোচনার জন্ম দেয়া বিপিএল নিলাম রোববার। তবে, লোকাল প্লেয়ারদের ক্যাটাগরি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা ক্রিকেট মহলে। নির্বাচকরা কোন ভিত্তিতে ক্যাটাগরি নির্বাচন করেছেন সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। যা নিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচক দিলেন ব্যাখ্যা। বললেন একজন নির্বাচক কম থাকাটাই কাজগুলো কঠিন করে দিচ্ছে।
সাবেক এ নির্বাচক বলেন, ‘কিছু খেলোয়াড়কে ক্যাটাগরিতে নিচে নামানো হয়েছে। বিপিএলে যারা অনেক বছর ধরে খেলছে, পারফরম্যান্স করেছে; সেভাবেই মাপকাঠিটা ঠিক করা হয়। তিন জন (নির্বাচক প্যানেল) হলে কাজের একটা সুবিধা হয়। দুজনেও কাজ করা যায়। কিন্তু ঘরোয়া ম্যাচগুলো ফলো করা কঠিন হয়ে যায়। তিন জনের প্যানেলটা খুব দরকার জাতীয় দলের জন্য।’
কয়েক দফা পেছানোর পর আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের ১২তম আসর। ফাইনাল ২৩ জানুয়ারি।
আরপি/টিকে