প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে প্রায় নিশ্চিত জয়ের ম্যাচ হাতছাড়া করল নারী বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তারা জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরত্বে থাকা অবস্থায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সিডনি-অ্যাডিলেডের এই ম্যাচের আগে হানা দিয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। ফলে ২০ ওভারের ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ৫ ওভারে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে বিদ্যুৎ চমকাতেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
নারী বিগ ব্যাশের ২৭তম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) অ্যাডিলেড ওভালে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ও সিডনি থান্ডার। বৃষ্টিতে লম্বা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর খেলা মাত্র ৫ ওভারে নির্ধারিত হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা’র নেতৃত্বাধীন স্বাগতিক অ্যাডিলেড ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে। তাদের পক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক লরা উলভার্ট ২২ ও অধিনায়ক ম্যাকগ্রা ১২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। সিডনির পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন শবনিম ইসমাইল ও লুসি ফিন।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই সিডনি জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। ২.৫ ওভারেই তারা ৪৩ রান তুলে ফেলে। ফলে জয় পেতে ১৩ বলে মাত্র ৩ রান দরকার ছিল সিডনি থান্ডারের। অধিনায়ক ফোবে লিচফিল্ড ৩৮ এবং জর্জিয়া ভল ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু ওই সময়েই ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টির ছোট কিছু ফোটা, সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানি। যদিও তখন সেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। ফলে অনেকটা বিনামেঘে আসা বজ্রপাতের মতো সিডনির নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্রিকেটারদের চমকে দিয়ে আম্পায়াররা খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এলিয়সে শেরিদান ও স্টিফেন ডাইওনিসিয়াসের দেওয়া অদ্ভুত এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন সিডনির অধিনায়ক লিচফিল্ড, ‘খুবই হতাশ হয়েছি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত, খুবই হতাশ হওয়ার মতো ব্যাপার।’ কঠিন হলেও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই নিলেন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক ম্যাকগ্রা, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত। বৃষ্টি চলে গেলেও, বল স্লিপ করছিল, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনের ধারাভাষ্যে থাকা অ্যালিস্টার নিকোলসন বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিব্রতকর। এই মুহূর্তে কোনো বৃষ্টি নেই, নিশ্চিত ফলাফলের দিকেই ম্যাচ যাচ্ছিল। কী হতে যাচ্ছে সেটাও সবার সামনে স্পষ্ট। অথচ সিডনি থান্ডারের জয় ছিনিয়ে নেওয়া হলো।’
আরেক ধারাভাষ্যকার ক্যালাম ফারগুসন বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছি। এটি ম্যাচের জন্য বিব্রতকর। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। যখন উভয় দলের অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, তখন কিউরেটর স্টাফ এসে এমন কিছুর মুখে ফেলল। তাদের আমরা একটু আগেও দেখিনি। এর আগে মাঠকর্মীরা বামে, ডানে এবং মাঠের মাঝখান থেকে তারা নিজেদের হাতে চালিত প্রক্রিয়ায় পানি সরিয়েছে।’