৯ আসর পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলোয়াড় নিলাম। আর সেই প্রত্যাবর্তনেই সবচেয়ে বড় চমক হয়ে উঠলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্য পেয়ে নিলামের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই বামহাতি ব্যাটার। এছাড়া তরুণ কয়েকজন নবাগত খেলোয়াড় দাম অনুযায়ী অভিজ্ঞদেরও ছাড়িয়ে গেছেন।
ক্যাটাগরি ‘এ’-তে ৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থাকা নাঈমকে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। সিলেট টাইটান্স, রংপুর রাইডার্স এবং নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে তারা তাকে দলে নেয় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়ে।
নিলামের সময় নাঈম ছিলেন সিলেটে এনসিএলে ময়মনসিংহ ডিভিশনের হয়ে ম্যাচ খেলতে। আলো কম থাকায় খেলা দ্রুত শেষ হওয়ায় হোটেলে ফেরার পথে বাসে বসেই দেখেন নিজের নিলাম।
সতীর্থদের উচ্ছ্বাসে বাস তখন যেন ছোটখাটো উদযাপন মঞ্চ।
নাঈম এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘খুব বেশি প্রত্যাশা করিনি, তবে রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমার নাম যখন ওই দামে বিক্রি হলো, সবাই বাসে চিৎকার করছিল।’
গত মৌসুমে ৫১১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন নাঈম।
তিনি মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সই তাকে এই পুরস্কার এনে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত বছর ভালো খেলেছি, তারই পুরস্কার পেয়েছি। যারা পারফর্ম করবে, তাদেরই মূল্যায়ন হওয়া উচিত। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুবই খুশি। ভিত্তিমূল্যে বিক্রি হলেও খেলায় আমার নিবেদন একই থাকত।
যে দলের হয়ে খেলি, মন-প্রাণ দিয়ে খেলি। ইনশাআল্লাহ, তা বদলাবে না।’
এদিকে ক্যাটাগরি ‘এ’-তে থাকা অন্য একমাত্র খেলোয়াড় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসকে ৭০ লাখ টাকায় দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে ৩৫ লাখ ভিত্তিমূল্য থাকা তাওহিদ হৃদয়কে ৯২ লাখ টাকা দিয়ে দলে টেনে নেয় রংপুর। স্থানীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্য এটি।
নিলামে নজর কাড়েন দুই নবাগতও। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা হাবিবুর রহমান সোহান ও আব্দুল গাফফার সাকলাইনেরও মিলেছে কাঙ্খিত পুরস্কার। দু’জনই ছিলেন ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে, ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ।
হাবিবুর সোহানকে ৫০ লাখ টাকায় দলে নেয় নোয়াখালী। আর মিডিয়াম পেসার সাকলাইনকে ৪৪ লাখ টাকায় নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
টিজে/টিকে