আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড বিষয়ে কমিশনের প্রতিবেদন এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে যার মাধ্যমে এতদিন আইনের আওতার বাইরে থাকা ব্যক্তিদেরও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব হবে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দেশের ইতিহাসে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সংঘটিত সবচেয়ে নৃশংস রক্তপাতের ঘটনাটির প্রকৃত সত্য এতদিন সামনে আসেনি। কমিশনের প্রতিবেদনে সেই ঘটনার মূলহোতা, হত্যাকারী, সুবিধাভোগী এবং তাদের উদ্দেশ্যগুলো উন্মোচিত হয়েছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি আইনের শাসনের আওতায় আগে দায়মুক্ত থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহির সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে আগের বিচারপ্রক্রিয়ায় যারা অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সেসব এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে এসব পড়ে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে। যাচাই-বাছাইয়ে এলে তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে। আর যদি না পড়ে তাহলে সুপারিশ অনুযায়ী অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনে বিচার হতে পারে। মূল কথা কমিশনের প্রতিবেদনে ঘটনার হোতা, অপরাধী ও সুবিধাভোগীদের স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এতে তাদের বিচারের পথ সুগম হলো।
উল্লেখ্য, বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসএন