বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে, অনেক আন্দোলন, অনেক রক্ত, অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি। এই গণ অভ্যুত্থানের পর নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে।’ তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের মাধ্যমে আমরা সংস্কারের সনদ স্বাক্ষর করেছি। বর্তমানে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিস্থিতি ও পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও চলছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে দেশের মানুষ এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠন করবে। সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে তারা জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি বিএনপি যদি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে অবশ্যই দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।’
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসন বর্তমানে অত্যন্ত অসুস্থ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সারা দেশের মানুষ তার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। আমরা তার জন্য দোয়া চাইছি, আল্লাহতাআলা যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফেরত আনেন এবং দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দেন।’
এবি/টিকে