বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামে হাই প্রোফাইল পাকিস্তানি তারকাদের প্রতি আগ্রহ না দেখালেও সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছেন বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল তারকা। তবে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দুঃসংবাদ দিয়েছে ক্রিকবাজ।
পাকিস্তানের এই হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের বিপিএলের পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটির সময় পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচিই এই শঙ্কার নেপথ্যে।
কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এখন তাদের বিকল্প খেলোয়াড় খুঁজতে হবে।
একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা একজন কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, 'আমরা জানি যে তারা (পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা) পুরো মৌসুম জুড়ে উপলব্ধ থাকবে না, কারণ জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সিরিজ আছে এবং জানুয়ারির শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিরিজ রয়েছে।'
২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত বিপিএলের সময়সূচি পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে। অথচ এই টুর্নামেন্টই টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শেষ ধাপ।
পাকিস্তান আগামী ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। সে সময় বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সফরকারীরা শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পেও থাকবে, এবং তাদের বিশ্বকাপ ম্যাচগুলির ভেন্যুও সেখানেই নির্ধারিত।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। এই সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অজিরা। এরপরই পাকিস্তান বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নেবে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও ভারতের যৌথ আয়োজনে টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।
বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিপিএলের বিভিন্ন দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই তালিকায় আছেন ওপেনার সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নবী, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ আরও অনেকে।
পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, 'এটা ঠিক নয় যে আমরা এই বছর এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিচ্ছি না। যারা এনওসির জন্য আবেদন করেছে, তাদের আবেদন এখন প্রক্রিয়াধীন। আমরা দেখছি কাকে দেওয়া যেতে পারে আর কাকে দেওয়া যাবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'তবে এটাও মনে রাখতে হবে—যখনই জাতীয় দায়িত্ব থাকে, সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার। তাই কেউ যদি জাতীয় দায়িত্বে থাকে, সে ক্ষেত্রে সে এনওসি পাবে না। বিশ্বজুড়ে এটা একইভাবে চলে।'
অনেকেই মনে করেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ফাঁকা সময়ে বা শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝখানে কিছু খেলোয়াড় বিপিএলে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, যারা আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় নেই, তারাও বিপিএলে খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
আইকে/এসএন