আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা কাটিয়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানরা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই তাদের। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা তাই ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই নিতে হবে ক্রিকেটারদের। তবে বিপিএল থাকায় বাড়তি সুবিধা তো পাচ্ছেনই তারা। সেখানে পারফর্ম করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের। অধিনায়ক লিটনও সতীর্থদের কাছে, বিপিএলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চান। রাজধানীর উত্তরায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
গেল কয়েকমাস ধরেই বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও সিরিজ খেলায় ব্যস্ত ছিলেন লিটনরা। বিশ্রাম কিংবা ব্যক্তিগতভাবে খুটিনাটি নিয়ে কাজ কিছুই করা হয়নি তাদের। এবার সেই সুযোগ এসেছে। প্রায় দুই মাস সময় পাওয়ায় দলের ক্রিকেটারদের কাছে অধিনায়কের চাওয়া কি থাকবে, এমন প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনি যেখানেই খেলতে যাবেন না কেন, বড় লক্ষ্য রাখতে হবে।
একই সঙ্গে আপনাকে প্রতিটি ম্যাচের দিকে দৃষ্টি রেখে এগোতে হবে। জয়ের ওপর তো কোনো বিকল্প নেই। চেষ্টা করব প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য। কতটা সফল হব জানি না, কিন্তু আমাদের চেষ্টার কমতি থাকবে না। খেলোয়াড়রা এই বিশ্রামের পর বিপিএলে আসবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্ট। এখানে যদি তারা ওইভাবে পারফর্ম করতে পারে। আমার মনে হয় এটা বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে একটা ভালো আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।’
গত এক বছরে যতগুলো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ, বেশিরভাগই প্রায় একই দলকে টেনে নেওয়া হয়েছিল। ১৭-১৮জন ক্রিকেটারই ঘুরে ফিরে দলের মধ্যে ছিলেন। সামনে বিপিএলে চোখে পড়ার মতো কেউ পারফর্ম না করলে এই দলে যে পরিবর্তন আসতেছে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। অধিনায়ক হিসেবে লিটনেরও চাওয়া তাই, ‘যারা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে, তাদের এগিয়ে থাকাটাই বেশি।
এখানে যে কোনো বাড়তি খেলোয়াড় ঢুকবে না, জিনিসটা তাও না। কিন্তু যারা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, পারফর্ম করছে; তাদের অভিজ্ঞতাই বেশি থাকবে। তারপরও বিপিএলে কোনো খেলোয়াড় অসাধারণ কিছু করলে সেটা নির্বাচকরা দেখবেন।’
বিপিএলে নিজেদের পারফরম্যান্স ছাড়াও ক্রিকেটারদের কাছে কন্ডিশন দ্রুততার সঙ্গে রপ্ত করার কৌশলও চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘বিপিএলের তিন ভৈন্যুতে হবে তিন রকমের খেলা। আপনি সবসময় ভালো উইকেট পাবেন জিনিসটা তেমনও না, আবার যে খারাপ উইকেট পাবেন সেটাও না। আপনি নির্দিষ্ট দিনে কেমন উইকেটে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, সে অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিয়ে দলকে সাহায্য করছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
এসএস/টিএ