ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। দেশের এমন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশটির ক্রীড়া সংস্থা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রেস রিলিজে জানানো হয়, সরকারের ‘রিবিল্ডিং শ্রীলঙ্কা’ তহবিলে তারা ৩০০ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ১২ কোটি টাকা) দান করেছে।
বোর্ডের সভাপতি শাম্মি সিলভা এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে এই সাহায্য দেওয়া হয়। প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট দেশের মানুষের অনুভূতির প্রাণকেন্দ্র, তাই বোর্ড মনে করেছে জনগণের পাশে দাঁড়ানোই এখন সময়ের দাবি।
যদিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। অতীতেও তারা দুর্যোগে বারবার দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোভিডের সময় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো, আর্থিক সহায়তা দেওয়াএসব উদ্যোগ সে সময় বেশ আলোচিত হয়েছিল।
তার আগে ২০১৭ সালের মারাত্মক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তাও দিয়েছিল বোর্ড। ফলে এবারের সহায়তা সেই ধারাবাহিকতার আরেকটি অংশ হয়ে রইল। এবার তারা দিলো ৩০০ মিলিয়ন যা বাংলাদেশি টাকায় আজকের বাজারদর অনুযায়ী এগারো কোটি ঊননব্বই লক্ষ চব্বিশ হাজার চারশো ছিয়ানব্বই টাকা ছেচল্লিশ পয়সা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও তারা এমন উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। “জাতীয় অগ্রগতি ও সংকট মোকাবিলায় আমরা সামনে থাকব” -এই বক্তব্যে বোর্ডের অবস্থান স্পষ্ট।
ঘূর্ণিঝড়ে যেসব পরিবার আশ্রয়হীন হয়েছে, যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ-পানি-সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, সেসব স্থানে পুনর্গঠনের কাজেই এই অর্থ ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো থেকে শুরু করে জনসেবা পুনর্বহাল - সবকিছুতেই সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
দেশটির এই দুর্যোগপূর্ণ সময় ছাড়াও বাজে সময় পার করছে লঙ্কানরা। সর্বশেষ বিদেশ সফরে দল প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারেনি। ব্যাটিং লাইনআপের ধারাবাহিকতা নেই, বোলিং ইউনিটেও বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটছে। তবে, দল পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেই শ্রীলঙ্কার এমন হাল - এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে মাঠের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হলেও ,মাঠের বাইরে এমন উদ্যোগ ভক্তদের মনে কিছুটা হলেও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। মাঠের হতাশার মাঝেও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখানো বোর্ডের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
এসএস/টিএ