নব্বই দশকে মাধুরী দীক্ষিত বলিউডে শীর্ষ তারকাদের একজন ছিলেন। ১৯৯৯ সালে হার্ট সাজন নেনেকে বিয়ে করেন তিনি। যখন তিনি ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ছিলেন তখন সবকিছু পেছনে ফেলে স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
সম্প্রতি এক ইউটিউব আড্ডায় মাধুরী স্বামী নেনের সাথে তার সর্ম্পক ও বিয়ের প্রথম জীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিয়ের আগের জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিয়ে করার জন্য একদমই তৈরি ছিলাম না। ক্যারিয়ার নিয়ে যথেষ্ট সুখী ছিলাম আমি। ভাইবোনেরা চাইত আমার জীবনে কেউ আসুক। কিন্তু আমি তাদেরকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলাম এ নিয়ে ভাবতে। কারণ আমি ভাবতাম ভুল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হলে আমার আনন্দ নষ্ট হয়ে যাবে।’
কিন্তু যখন মাধুরীর সাথে ড. নেনের দেখা হয়, তারা দুজনেই একে অপরের প্রতি মুগ্ধ হয়। তার সাথে পরিচয়ের আগে নেনে জানতেন না মাধুরী ভারতীয় সিনেমায় একজন বড় তারকা।
দেখা হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মধ্যে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নেনের সাথে বিয়ের পর তিনি রুপালি পর্দা ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে ছেলেদের নিয়ে আবার ভারতে ফিরলেও এতে তার ক্যারিয়ারে বড় ধরণের বিরতি আসে। তবুও মাধুরীর মতে, জীবনে সত্যিকারের সুখ সঙ্গীর সাথেই।
স্বামীকে নিয়ে মাধুরী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক শিল্প আর বিজ্ঞানের মেলবন্ধন। নেনের রোগীর প্রতি দায়িত্বশীলতা, জ্ঞানী মন এসবই আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তার যত্ন নেয়ার ধরণ অসাধারণ।’
প্রকৃত সুখ নিয়ে মাধুরী বলেন, ‘ক্যারিয়ার নয়, আমার স্বামীই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। কারণ ব্যক্তিজীবনে সুখ না থাকলে অর্জনের আনন্দও ফিকে হয়ে যায়। শেষে তো মানুষ সব ভুলে যাবে, কিন্তু পাশে যদি আপনার সঙ্গী থাকে সেটিই বড় পাওয়া।’
মাধুরী দীক্ষিত এখনো ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেত্রী। ‘দিল’, ‘তেজাব’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগাল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’, ‘পুকার’ এর মতো অসংখ্য ছবিতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।
কেএন/এসএন