জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের আরো অনেকগুলো রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। আমরা চাই, জুলাইয়ের শক্তিগুলো যারা পরিবর্তনের পক্ষে আছে, যারা পুরোনো পথে যেতে চায় না, তারা আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। এই নির্বাচনে আমরা একসাথে, এক মার্কায় অংশগ্রহণ করব। এই প্রত্যাশা আমরা রাখছি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিআরইউ-তে তিন দলের নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ আগামী নির্বাচনে গায়ের জোরে দখলদারিত্বের মাধ্যমে ভোট আদায় করে, অথবা ধর্মের নামে মানুষকে প্রতারণা করে ভোট আদায় করে; তারা উভয়ই পরাজিত হবে। এই জোটটা কেবল নির্বাচনী জোট না। এই জোটটা মূলত রাজনৈতিক জোট। আমাদের যে রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলোকে সামনে রেখে আমরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে ঘটিয়েছিলাম, আমরা সেই লক্ষ্যগুলোকে সামনে রেখে এগোবো। সামনে যেহেতু নির্বাচন, এই নির্বাচন প্রক্রিয়াতেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা দেখেছি, দেশ আজ বিভাজিত হচ্ছে। নানান প্রক্রিয়ায় দেশকে বিভাজিত করা হচ্ছে। যেসব প্রশ্নগুলো এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে জরুরি ছিল আলোচনা করা, আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কার, আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কার, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, নানাভাবে সেই প্রশ্নগুলাকে অগুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দলকে সিটের লোভ দেখিয়ে নানাজোটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সব যে অফার বিভিন্ন দল থেকে আসছে আমরা সেগুলোকে সাদরে প্রত্যাখ্যান করি।
তিনি বলেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ ভাইয়ের বরিশালে ওনার নির্বাচনী প্রচারণার সময় ওনাকে হেনস্তা করা হয়েছে। নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা যেই প্রত্যাশা করেছিলাম যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে এবং তারা মত প্রকাশ করবে। আমরা দেখছি, ভোট কেন্দ্র দখল, জবরদস্তি এবং একটি আধিপত্যমূলক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণ করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সেই আচরণ কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায়, দেশ চালাতে গিয়ে নির্বাচন করতে গিয়ে কিন্তু একটি দল এই দেশ থেকেই বিতাড়িত হয়েছে। ফলে যেই অহংকার, যে আত্মভূমিকা অন্য রাজনৈতিক শক্তির উপরে ভিন্ন মতের উপরে এরকম দমন-পীড়ন করে তার বিরুদ্ধে গিয়েই কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং অহংকারের পতন হয়েছিল।
এমআর/টিকে