প্রয়োজনে আমারা ৩০০ ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজদের কাছে কখনো মাথা নত করব না বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি মনোনীত কুমিল্লা -৪ আসনের প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “নেতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, বিশেষ চেয়ার, বিশেষ প্রটোকল- এই বিশেষ মানুষকে আমরা সাধারণ মানুষ আর নিজেদের নেতা হিসেবে আমরা মানব না। আমরা প্রয়োজন ১০টা ভোট পাব, কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে। আমরা প্রয়োজনে ৩০০ ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজের কাছে কখনো মাথা নত করব না। দেবিদ্বার থেকে চাঁদাবাজদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বল্লভপুর বাজারে দিনব্যাপী নির্বাচনী পদযাত্রা শেষে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, “আমার মায়েরা-বোনেরা রোজা রেখে আমাকে ভোট দিতে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমার ভাই বোনরা আমার জন্য কাজ করবে। প্রবাসে যে ভাইয়েরা থাকেন তারা ফোনে ফোন আমাকে ভোট দিতে বাড়িতে বলে দিয়েছেন। রাজমিস্ত্রী ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আমার আব্বার বন্ধুরা আছেন এবার তারাই হবে আমার নির্বাচনে এজেন্ট। কারণ তাদের সন্তান এবার নির্বাচনে দাঁড়াইছে। মা-বাবার এবারের ভোট তাদের সন্তানের পক্ষে হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সমাজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ তরুণ প্রজন্মের। যারা জাগতিক স্বার্থের কাজে পরাজয় বরণ করে না। যারা গুলির কাছে বুক পেতে দেয়। এবার নির্বাচন হবে তাদের জন্য পরীক্ষা। দাদা দেখে নাতিকে কেউ ভোট দেয় না, ব্যক্তি দেখে ভোট দেয়। ভোট দেন আমারে আর আইসা মাতাব্বরি করে আমার বউয়ে, মাতাব্বরি করে আমার শালায় এটা কি আপনারা মাইন্না নেবেন।”
হাসনাত আরও বলেন, “ব্যাপার এমন যে, ভোটে দাঁড়াইল লাল মিয়া। ভোট চায় চান মিয়া। সংসদে যাবে কালা মিয়া। আমার ভোট তাহলে পাবে কোন মিয়া। আমি যদি জিতি সংসদে কি আমার বউ যাবে? সংসদে কি আমার পোলায় যাবে? সংসদে কি আমার বাপে যাবে? যে সংসদে যাবে তাকেই ভোট চাইতে আসতে হবে। যে সংসদে যাবে সে মাতাব্বরি করবে। আর যদি কেউ মাতাব্বরি করতে চায় তাহলে তাকে নিজে ভোটে দাঁড়াইতে হবে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার কথা কি মনে আছে? এ ছুঁতা নেতাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না। আমাদের দেশে অনেক চেয়ারম্যান আছে, চেয়ারম্যান থেকে পোলায় বেশি সেয়ানা। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কারণ আমরা যারা নেতা বানাই নেতারা আমাদের কখনো মানুষই মনে করে না।”
উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কেন্দ্রীয় যুবশক্তির সদস্য মো. নাজমুল হাসান নাহিদ, দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপি যুগ্ম সমন্বয়কারী শামীম কাউছার, সাইফুল ইসলাম শামীমসহ এনসিপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পিএ/টিএ