নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তিনি সেই সময়ে অগ্রণী এক অগ্রদূত। নারী জাগরণের একজন আলোক দিশারী। তিনি তাঁর নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পিছিয়ে পড়া। অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা।
তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার বিস্তারকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এ দেশের মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাঁকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে স্থির, অদম্য ও অবিচল।
তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতিকে জীবনের মর্মস্থলে তিনি স্থাপন করেছিলেন নারীর স্বায়ত্ত্বশাসন ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে। আর এ জন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে ছিলেন, শত কুপমন্ডুকতার বাধা সত্ত্বেও।
তিনি বলেন, মূলতঃ বেগম রোকেয়ার উচ্চারণের প্রাণকেন্দে রয়েছে নারীর সঠিক স্বাধীনতা। তাঁর কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারী সমাজকে আরও উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
এবি/টিকে