আজ ১২ই ডিসেম্বর, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কিংবদন্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮২ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের আসাম প্রদেশের ধুবড়ি জেলার সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
মওলানা ভাসানী ছিলেন কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আপসহীন নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
তিনি তরুণ বয়সেই খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য তিনি দীর্ঘ সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর 'লাঙ্গল যার জমি তার' স্লোগানটি আজও কৃষক আন্দোলনের প্রেরণা।
তিনি সব সময় মজলুম বা অত্যাচারিত মানুষের পক্ষে নির্ভীকভাবে আওয়াজ তুলেছেন, যার কারণে তিনি 'মজলুম জননেতা' উপাধিতে ভূষিত হন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী।
১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন তিনি।
১৯৭৬ সালের ১৭ই নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ইএ/এসএন