হামলা হওয়ার আগে থেকেই ওসমান হাদিকে ভারতীয় নম্বর থেকে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হলেও এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রেসনোটও দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।
জুলাই বিপ্লব আমাদের মুক্তির সনদ, আর ওসমান হাদি আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সিপাহসালার; তাই তার ওপর নৃশংস হামলার বিষয়টি দেশপ্রেমী জনতা কোনোভাবেই বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এসব কথা বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রমমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন– কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান ও মু. আতাউর রহমান সরকার, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, দেশ ও জাতি এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কুচক্রীরা জুলাই বিপ্লবীদের বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। হামলা হওয়ার আগে থেকেই ওসমান হাদিকে ভারতীয় নম্বর থেকে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রেসনোটও দেয়নি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দেশে আলু ও পিঁয়াজের দাম কমেছে বলে তা এড়িয়ে গেছেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ওসমান হাদি নয় বরং কুচক্রীরা একটি হিট লিস্ট করে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়ার জন্য গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর হাতে অবৈধ অস্ত্রও রয়েছে। তাই এদের তালিকা ধরে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই বরং এরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাই এদের বিষয়ে কোনো প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ৩ দিন অতিক্রান্ত হলেও সরকার এখনো হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা জামায়াত আমিরসহ আমাদের শীর্ষনেতাদের টার্গেট করে ওঁৎ পেতে আছে। কিন্তু সরকার এসব সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রোধ করতে ব্যর্থ হলে আগামী নির্বাচনও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা আমাদেরকে আওয়ামী-বাকশালীদের হাত থেকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
তাই তারা ফ্যাসিবাদী ও তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছে চক্ষুশূল। মূলত, ওসমান হাদিরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী। তাই এসব বিপ্লবীদের জানমাল ও স্বজনদের রক্ষায় রাষ্ট্রকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফার্মগেটে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
এসএন