সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেছেন, আমরা শুধু প্রথাগতভাবে বিএ, এমএ পাস করছি এবং তাতেই সমাজে অতিরিক্ত গুরুত্ব ও মূল্য দিচ্ছি। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হতে পারে, যদি আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রতি গুরুত্ব না দিই। তাই প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইউসেপ বাংলাদেশ সেই স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজটিই করছে। ইউসেপ একটি ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান, যারা সমাজের যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে। এছাড়া বহির্বিশ্বে কাজ করতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক স্কিল ডেভেলপমেন্টও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগরীর বৈকালি মোড়স্থ ইউসেপ খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও গ্রিভেট প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত চাকরি মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ-পরবর্তী চাকরি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ চাকরি মেলায় দেশি-বিদেশি ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। মেলায় বেকার যুবক-যুবতীদের সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। সকাল ১০টায় চাকরি মেলা শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। মেলার দ্বিতীয়ার্ধে ইউসেপের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা এখানে ১১টি ট্রেডের পাশাপাশি সফট স্কিল ও অটোমেশনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যুবক-যুবতীদের দক্ষ করে গড়ে তুলি এবং তাদের শোভন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি। প্রতি বছর এখান থেকে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।
মেলায় ১ হাজার ৭৮৯ জন চাকরি প্রত্যাশী তাদের পছন্দের কোম্পানিতে সিভি জমা দেন। স্পট ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ৭ জনের চাকরি নিশ্চিত হয় এবং আরও ৯৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এলান চেইনীর নামে প্রতিষ্ঠিত এলএ বিজ্ঞান ক্লাবের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন ইনোভেটিভ প্রকল্প মেলায় প্রদর্শন করেন। ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের ৬টি টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের পরিচালক এএমএম মহসিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সিফাত মেহনাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কানিজ ফাতেমা লিজা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. বিএম ইকরামুল হক, ইউসেপ বাংলাদেশ পাবলিক পার্টনারশিপ ম্যানেজমেন্টের পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান, মিতালি ফুডস লিমিটেডের পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ আকন্দ এবং ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অব এইচআর মো. মিজানুর রহমান খান।
এবি/টিকে