রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না, কিন্তু ইউরোপ যদি যুদ্ধ বেছে নেয় তবে মস্কো তার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার (১৭ই ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে তিনি পশ্চিমা নেতাদের কড়া সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেন।
পুতিন অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় জনগণকে রাশিয়ার কাল্পনিক জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমি বারবার বলেছি, ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা ডাহা মিথ্যা এবং নিছক প্রলাপ। পশ্চিমা নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনগণের মধ্যে এই ভীতি ও হিস্টিরিয়া তৈরি করছেন।" তিনি স্পষ্ট করেন, রাশিয়া নিজ থেকে ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না, তবে পরিস্থিতি বাধ্য করলে তারা পিছিয়ে আসবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, কূটনৈতিক বা সামরিক যে কোনো উপায়েই রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন করবে। তিনি ইউক্রেনে 'নিরাপত্তা বাফার জোন' বা নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণের ঘোষণা দেন। পুতিন বলেন, 'যদি প্রতিপক্ষ এবং তাদের বিদেশি পৃষ্ঠপোষকরা অর্থবহ আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে, তবে সামরিক উপায়েই রাশিয়া তার ঐতিহাসিক ভূখণ্ড মুক্ত করবে।'
এদিকে যুদ্ধের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে মিশ্র খবর পাওয়া গেছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনীয় বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুপিয়ানস্কের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইউক্রেন বুধবার দাবি করেছে যে তারা শহরটির ৯০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করেছে, যা গত নভেম্বরে রাশিয়া দখল করেছিল।
বর্তমানে ক্রিমিয়া ছাড়াও দনবাসের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার ৭৫ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত শান্তি চুক্তির জন্য চাপ দিলেও পুতিনের বক্তব্যে খারকিভ ও সুমিসহ বিভিন্ন ফ্রন্টে আরও অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমকে/টিএ