৮ উইকেটে ৩২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্ক অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে, নাথান লায়ন শূন্য রানে। দ্বিতীয় দিন স্টার্ক করেছেন আরও ২১ রান, লায়ন ৯। অস্ট্রেলিয়া থামলো ৩৭১ রানে।
স্টার্ক আগের ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন। শুধু ফিফটি কেন, ব্রিসবেনের ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রানই করেছিলেন তিনি। তার ৭৭-এর চেয়েও ৫ রান কম করেন জ্যাক ওয়েদারেল্ড। আজ অ্যাডিলেডে ফিফটি পূরণ করেন ব্রাইডন কার্সের ১৪তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে। ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। তাতে অস্ট্রেলিয়া পার হয়েছে সাড়ে তিনশর বৈতরণী।
টেস্টে ৯ নম্বর বা তার পরে নেমে সর্বোচ্চ ৫০+ ইনিংসের রেকর্ড আগে থেকেই স্টার্কের দখলে। আজ সংখ্যাটাকে দুই অঙ্কে উন্নীত করলেন তিনি। স্টুয়ার্ট ব্রড ৯ নম্বর বা তার পরে নেমে ফিফটি প্লাসের ইনিংস খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ বার।
প্রথম দিন জফরা আর্চার নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। স্টার্ককে শিকারের ফলে ৪ পূর্ণ হয় তার। নাথান লায়নকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফাইফারের দেখাও পেয়ে যান। ৫ উইকেট নিতে খরচ করেন ৫৩ রান। ব্রাইডন কার্স ও উইল জ্যাকস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট, জশ টাং একটি।
প্রথম দিনের নায়ক আলেক্স ক্যারি। অ্যাশেজে প্রথম সেঞ্চুরি করে তিনি আউট হন ১৪৩ বলে ১০৬ রান করে। যদিও ৭২ রানের মাথায় একবার আউট হয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড রিভিউ নিয়েছিল, ক্যারে বেঁচে যান স্নিকোমিটারের সমস্যার কারণে। এই কারণে ইংল্যান্ড আজ একটি রিভিউ পেয়ে দিন শুরু করে।
উসমান খাজা তৃতীয় টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়ার পর অনেকেই তার শেষ দেখে ফেলেছিলেন। ভাগ্য খুলে যায় স্টিভ স্মিথ ইনজুরিতে পড়ার ফলে। সুযোগ পেয়ে খাজাও ফের সুযোগ পাওয়ার যুক্তি তৈরি করে দিলেন। ক্যারের পর তার ইনিংসটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১২৬ বলে ৮২ রান করেন।
এবি/টিকে