মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন। জানিয়েছেন, তার (মাদুরোর) সাথে যেকোনো কূটনৈতিক আলাপ নিরর্থক হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) চলতি বছরের সবশেষ সংবাদ সম্মেলন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। দুই ঘন্টার ব্রিফিংয়ে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন তিনি। এতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভেনেজুয়েলা ইস্যু উঠে আসে।
মাদুরো প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, ভেনেজুয়েলার সাথে কূটনৈতিক আলোচনা ‘অনর্থক’ হবে। কারণ ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট তার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’। তার কথায়, ‘তিনি অতীতে হওয়া কোনো চুক্তিই কখনও মানেননি, যার ফলে তার সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো চুক্তি করার কথা বিবেচনা করাও কঠিন হবে।’
ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে অবস্থান আরও কঠোর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও তেল ট্যাংকার জব্দের মাধ্যমে চাপ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। চাপ জোরদারে নিকোলাস মাদুরো, তার স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার এনবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটির সঙ্গে সংঘাতের পথ ‘টেবিলের বাইরে নয়’। একই সঙ্গে তিনি জানান, ভেনেজুয়েলার জলসীমার কাছাকাছি আরও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করা হতে পারে।
এর আগে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটি নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকার জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদুরো সরকারের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। উত্তেজনার মধ্যেই পুয়ের্তো রিকোর পন্সে ও আগুয়াদিল্লা বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
চাপ জোরদারে নিকোলাস মাদুরো, তার স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, মাদুরো দম্পতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট অভিযোগ করেন, মাদক রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখছে তারা।
টিজে/টিএ