নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে রাজনীতি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার দুইজন, সেনবাগ থানার একজন, বেগমগঞ্জ মডেল থানার তিনজন, সুধারাম মডেল থানার দুইজন, কবিরহাট থানার দুইজন, কোম্পানীগঞ্জ থানার দুইজন, চরজব্বর থানার দুইজন ও হাতিয়া থানার দুইজন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাশকতা রোধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কঠোর নজরদারি ও বিশেষ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এসব অভিযান দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন ফেজ-২’-এর অংশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন ফেজ-২’-এর অংশ হিসেবে সেনবাগ থানা এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অর্জুনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন পাটোয়ারী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. বারী দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় আমরা আওয়ামী লীগের সক্রিয় তিন কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া, বিভিন্ন মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক। এর আগেও দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চরজব্বর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুর রহমান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন ফেজ-২’-এর অংশ হিসেবে হাতিয়া থানা এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিদিনই এমন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমকে/টিএ