ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া হাদির জানাজাস্থলে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন করতে পারবেন না। একই সঙ্গে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পাশাপাশি এক হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এদিকে, ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ স্থানান্তর করা হয়।
গোসল করানোসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
টিজে/টিএ