সোনাক্ষী সিন্হা ও জ়াহির ইকবালের বাড়িতে পা দিয়েই চমকে উঠেছেন ফরাহ খান। এত বড় বাড়ি, এত আলাদা আলাদা ভাবনায় সাজানো অন্দর—সব মিলিয়ে পরিচালক যেন কিছুক্ষণের জন্য ভুলেই গিয়েছিলেন, তিনি কোনও তারকার বাসভবনে এসেছেন, না কি কোনও বিশাল স্টুডিয়োয়। সঙ্গে থাকা তাঁর রন্ধনশিল্পী দিলীপের প্রতিক্রিয়াও ছিল একইরকম বিস্ময়ে ভরা।
বাড়ির সদর দরজার সামনেই থমকে যান ফরাহ। দরজার বিশালতা দেখে দিলীপ মন্তব্য করেন, মনে হচ্ছে যেন শুটিং ফ্লোরে ঢুকছেন। ফরাহও হাসতে হাসতে বলেন, এমন দরজা সচরাচর বাড়িতে দেখা যায় না। ভিতরে ঢুকেই তিনি সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দেন সোনাক্ষীর দিকে এটা কি আদৌ বাড়ি, না কি কোনও স্টুডিয়ো। সোনাক্ষীও মজা করে জবাব দেন, শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া শুরু করেছেন তাঁরা।
এই বাড়ির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ তার দ্বিখণ্ডিত বিন্যাস। একই ছাদের নীচে হলেও সোনাক্ষী ও জ়াহিরের পছন্দ-অপছন্দ আলাদা করে ধরা পড়ে। জ়াহিরের অংশটি রঙিন ও প্রাণবন্ত। নীল ও হলুদ সোফা, লাল রঙের ফ্রিজ সব মিলিয়ে একেবারে চোখে পড়ার মতো। এই অংশকে তাঁরা নিজেরাই ডাকেন ‘নিউ ইয়র্ক’। অন্য দিকে সোনাক্ষীর অংশটি তুলনামূলক শান্ত ও নরম। সাদা আর ঘিয়ের মিশেলে সাজানো সেই জায়গায় রয়েছে হালকা রঙের পর্দা ও আসবাব।
জ়াহিরের অংশের দেওয়ালে ঝুলছে একটি হাতে আঁকা ছবি। ছবিটি দেখে ফরাহ খান মজা করে বলে বসেন, সোনাক্ষীর পাশে দাঁড়ানো মানুষটি বুঝি সোনু সুদ। সঙ্গে সঙ্গে সোনাক্ষী হাসতে হাসতে ভুল ভাঙান। জানান, ওই ছবিটি নেপালের এক বন্ধু এঁকেছেন, আর সেটি আসলে জ়াহিরেরই প্রতিকৃতি।
বাড়ির অন্দরসজ্জায় আরও এক চমক ছোট্ট বার। সেটিও দেখে ফরাহ খান অবাক হন। বসার ঘরের ফ্লোটিং টিভি যেন হাওয়ায় ভাসছে এই দৃশ্যেও চোখ ফেরাতে পারেননি তিনি। জ়াহির অবশ্য আশ্বস্ত করেন, টিভিটি পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বাড়ির আর এক কোণে সাজানো তাঁদের ভ্রমণের ছবি, যা এই তারকা দম্পতির ব্যক্তিগত মুহূর্তের গল্প বলে।
সব মিলিয়ে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বাড়ি শুধু থাকার জায়গা নয়, বরং তাঁদের রুচি, রসিকতা আর জীবনের রঙিন দিকেরই এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। আর সেই ঝলক দেখেই ফরাহ খানের বিস্ময় থামেনি এক মুহূর্তের জন্যও।
এমকে/টিএ