মা শর্মিলা ঠাকুর বঙ্গকন্যা, ঠাকুর পরিবারের উত্তরসূরি। সেই সূত্রে বাংলার সঙ্গে সাইফ আলী খানের রক্তের সম্পর্ক থাকলেও পতৌদি পরিবারে বাংলা সাহিত্যচর্চা খুব একটা চোখে পড়ে না। তা হলে হঠাৎ করে কেন বাংলা শেখার সিদ্ধান্ত নিলেন বলিউডের নবাব?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফ আলী খান নিজেই জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাস তিনি শুটিং থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নিচ্ছেন। এই সময়টা তিনি ব্যয় করবেন একেবারে ভিন্ন কাজে বাংলা ভাষা শেখায়।
জানা গেছে, আগামী তিন মাস বাড়িতে শিক্ষক রেখে নিয়মিত বাংলা শেখার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি মায়ের মতো বা বোন সোহা আলী খানের পথ ধরে বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন সাইফ? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর অবশ্য দেননি তিনি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, একজন বিশিষ্ট বাঙালি ব্যক্তিত্বের জীবনচিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি হিসেবেই বাংলা শেখার এই উদ্যোগ। কোন চরিত্র, কার জীবনী সে বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি সাইফ।
এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন সময়ও পার করছেন অভিনেতা। চলতি বছরের শুরুতে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা এখনো তাকে তাড়া করে ফেরে। সম্প্রতি টুইঙ্কেল খান্না ও কাজলের টক শোতে এসে সেই ট্রমার কথাও অকপটে স্বীকার করেন সাইফ।
তার কথায়, ‘আজও রাতে সেই ঘটনার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
ভাবলে আতঙ্ক লাগে যদি সেদিন দেরিতে ঘুম ভাঙত, তাহলে জেহকে বাঁচাতে পারতাম না।’
এই মানসিক চাপ থেকে আপাতত নিজেকে সরিয়ে রাখতেই হয়তো নতুন এক অধ্যায়ে মন দিয়েছেন সাইফ। জানা গেছে, এই পুরো প্রক্রিয়ায় মা শর্মিলা ঠাকুরও ছেলের পাশে আছেন এবং তাকে নিয়মিত সাহায্য করছেন।
আরপি/টিকে