তিনদিন পরেই মঞ্চে ফিরছেন নচিকেতা। ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি, ২৪ ডিসেম্বর শ্রীরামপুর, ২৫ ডিসেম্বর জাঙ্গিপাড়া। পরপর তিনদিন শো। এখানেই শেষ নয়, বর্ষশেষেও মঞ্চে আগুন জ্বালাবেন ‘আগুনপাখি’। ৩০ ডিসেম্বর নচিকেতার শো রয়েছে লেকটাউনে।
১২ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। হৃদযন্ত্রে গোলমাল ধরা পড়ায় জোড়া স্টেন্ট বসেছে বুকে। ভক্তকুল শিল্পীর মঞ্চে ফেরা নিয়ে চিন্তায় আকুল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও শিল্পীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গল্প করার ফাঁকে শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি যত্নশীল হতে বলেন। শিল্পীর অসুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বহু অনুষ্ঠানের আয়োজকও। সবার মনে প্রশ্ন জাগছিল, একষট্টিতে বুকে স্টেন্ট নিয়ে কি আগের মতো গান গাইতে পারবেন শিল্পী? ডাক্তাররা কি অনুমতি দেবেন? সমস্ত উদ্বেগ ফুৎকারে উড়িয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর কাছে শিল্পী জানিয়ে দিলেন, ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি পুরোপুরি আগের মতোই মঞ্চে শো করবেন।
“যদিও বয়স আমার হাজার বারো, মনের বয়স আমার সবে আঠারো…”, বয়স যে শিল্পীর কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়, তা তো সুরে সুরেই বলেছেন শিল্পী। এদিন ইএম বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে শিল্পী চেক আপে যান। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার পরই পুনরায় মঞ্চে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। অসুস্থতার সময় ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকা নচিকেতার ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু অভিষেক দে জানিয়েছেন, এমনিতে শিল্পীর কোনও সমস্যা নেই। তবে, মঞ্চে বেশি ‘লোড’ নিতে বারণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ডাক্তারবাবুরা উত্তেজনা হয় এমন কোনও কাজ করতে নিষেধ করেছেন নচিকেতাকে। সেই নিয়ন্ত্রণ কি মঞ্চেও মানবেন শিল্পী? হাসতে হাসতে নচিকেতা জানালেন, “লাফালাফি করতে বারণ করেছেন ডাক্তারবাবুরা! দেখি কতটা মানতে পারি।”
এবি/টিকে