ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বায়ুদূষণ। পরিস্থিতি এতোই ভয়াবহ যে দিনের বেলাতেও মিলছে না সূর্যের আলোর দেখা। ঘন কুয়াশার মতো ধোঁয়ায় ঢেকে আছে দিল্লির আকাশ। কয়েকশ' মিটারের দূরত্বের কিছুও দেখতে পাওয়া দুষ্কর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনেক এলাকায় ছুঁয়েছে 'অত্যন্ত বিপদজ্জনক' মাত্রা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধূলা, শিল্পকারখানার নির্গমন আর পার্শ্ববর্তী রাজ্যতে খড় পোড়ানোর ধোঁয়া, সব মিলিয়েই তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। বায়ু দূষণের ফলে শ্বাস নেয়াই যেন কঠিন হয়ে পড়েছে।
দূষণের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন শিশু এবং বয়স্করা। হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানী ও চোখের সমস্যা নিয়ে রোগীরা ভিড় করছে। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়া, মাস্ক ব্যবহার এবং শিশুদের ঘরের ভেতরে রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি সরকার জারি করেছে একাধিক জরুরি নির্দেশনা। বন্ধ রাখা হয়েছে কিছু নির্মাণকাজ, সীমিত করা হয়েছে যান চলাচল। দূষণ কমাতে নতুন উদ্যোগ হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লাইটপোস্টে বসানো হয়েছে পানি ছিটানোর যন্ত্র। এই স্প্রিংকলারের মাধ্যমে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পানি ছিটানোর মতো উদ্যোগ সাময়িক স্বস্তি দিলেও, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
কেএন/টিকে