গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা, প্রশ্ন করার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে দলের সব পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সচেষ্ট থাকার জন্য উদ্যোগ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএনপি নেতারা যে কোনো ন্যায্য সমালোচনা সহজে গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবাদ পরিবেশনে যে কোনো হঠকারিতা পরিহার করারও আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব প্রত্যাশা ও আশ্বাসের কথা উঠে আসে। গতকাল রোববার দুপুরে র্যাডিসন ব্লু হোটেলে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও-টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে ‘তারেক রহমান-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকরা বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের ওপর নানাভাবে আঘাত এসেছে। মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হয়েছে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটা সব সীমা অতিক্রম করেছিল। বর্তমান বাংলাদেশে এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাংবাদিকরা বলেন, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নাগরিক সুরক্ষা ব্যাহত হয়। এ পটভূমিতে সাংবাদিকের নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সম্প্রতি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা এটা কোনোভাবে শুধু দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না।’ তিনি বলেন, “এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি। সরকারের দুর্বলতার কারণেই ‘মবতন্ত্র’ প্রশ্রয় পেয়েছে। এটি কঠোর হাতে দমন করা প্রয়োজন। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন?”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু পেয়েছি মবোক্রেসি। তাকে কেন লালন করতে হবে? এগুলো সরকারের দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করছে। এসব কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং জাতীয়ভাবে আমাদের সবাই এই বিষয়টাতে যাতে সচেতন হতে পারি, সে বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান বলেন, সরকারও ভুল করতে পারে, সাংবাদিকও ভুল করতে পারে। বড় কথা হচ্ছে, ভুল স্বীকার করার সৎসাহস থাকতে হবে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের আমলে একটা অন্ধকার সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। বিএনপি এসব থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।’
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করাই এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সরকারও কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারে না। প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, দেশে দীর্ঘদিনে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা বিপজ্জনক। এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের আরও আগে দেশে ফেরা সম্ভব হলে বিএনপি ও দেশের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারত। তারেক রহমানের অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, বিভিন্ন জরিপে বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছে এবং নির্বাচনে তারা বড় ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারে– এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যে দল ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে, তাদের নেতৃত্ব, আচরণে বিনয় থাকা জরুরি।
প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, বিএনপির শাসনামলে সংবাদপত্র খুব স্বস্তিতে ছিল– এমন দাবি তিনি করছেন না। তবে তুলনামূলক সে সময় ছিল কিছুটা বেশি সহনশীল। অন্যদিকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৫-১৬ বছরে সংবাদপত্র শিল্প সবচেয়ে বেশি ভীতি ও চাপের মধ্য দিয়ে গেছে।
মতিউর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে শুধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেই হবে না; সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হবে একটি জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা।
সরকার যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক পথে এগোতে চায়, তাহলে সংবাদপত্রের সমালোচনা শুনতে হবে উল্লেখ করে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘শুনবেন, জানবেন– মানবেন কি না, সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত। কিন্তু না শুনলে ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে।
আগামী দিনে সরকার গঠনকারী দলের জন্য সময়টা হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন– এ মন্তব্য করে মতিউর রহমান বলেন, বিএনপির কাছ থেকে আরও বেশি সহনশীলতা, আরও বেশি সমালোচনা গ্রহণের মানসিকতা দেখতে পাওয়া যাবে– তাঁর আশা। নতুন বাংলাদেশে স্বাধীন ও সমালোচনামূলক গণমাধ্যম মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সরকারই প্রকৃত অর্থে সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা গ্রহণ করেনি। আশা করব, বিএনপি সেই জায়গায় পরিবর্তন আনবে। সত্যিকার অর্থে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন ধরনের গণমাধ্যমবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।
মাহফুজ আনাম বলেন, দেশ এই মুহূর্তে এক ধরনের ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থার মধ্যে আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরে কখনও কোনো পত্রিকা অফিসে আগুন দেওয়া হয়নি। প্রথমবারের মতো প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিস আগুনে পোড়ানো হয়েছে। কেন? আমরা কী অপরাধ করেছি? এটা সব মিডিয়ার প্রশ্ন করা উচিত।
সমালোচনামূলক সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, এটি শুধু সাংবাদিকতার স্বাধীনতার বিষয় নয়; সুশাসনের জন্যও অপরিহার্য। তাঁর ভাষায়, আপনি যদি সত্য কথা শুনতে না চান, তাহলে আপনি ভুল করবেন এবং সেই ভুল বারবার করবেন। সাংবাদিকতায়ও ভুল হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভুল ধরিয়ে দিলে তা সংশোধনের দায়িত্ব গণমাধ্যমের। ডেইলি স্টার তা করে বলেও জানান তিনি।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে সামনে মহাবিপদ অপেক্ষা করছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব গণমাধ্যম ও বিএনপির বলে মনে করেন এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বড় দল। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গিয়ে কোথাও বিএনপিকে ১০টি সিট হারাতেও হয়, হোক। প্রথম আলো জরিপ করে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তাতে বিএনপির ক্ষমতায় আসতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না।
গণমাধ্যমকে উন্মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নোয়াব সভাপতি বলেন, আমাদের যদি উন্মুক্ত করে দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমরা দায়িত্বশীলভাবে সেটা করব। নির্বাচনের পর সরকার দায়িত্ব নিলে নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে নোয়াব সভাপতি বলেন, সবসময় সবকিছু যে আমরা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি, তাও না। আমাদেরও ভুলভ্রান্তি হয়। আমরা দুঃখ প্রকাশ করি। আপনারা আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম যখন সঠিক তথ্য দিয়ে দুর্নীতি ও অন্যায় তুলে ধরে, তখন সরকারের দায়িত্ব তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া।
মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ যেটা আসছে, তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রের যদি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রিজভী আহমেদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যমের প্রতি কী আচরণ করবে তারা তা স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। আমি খুব আশাবাদী হতে চাই, আগামী দিনে যদি এর সিকিভাগও বাস্তবায়িত হয়, আমরা খুশি থাকব।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান এমন এক সময় দেশে আসছেন, যখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তা। তিনি বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে হামলা হয়েছে। এরপর কী হবে আমরা জানি না। আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আপনারা আমাদের কথা বলতে দিলে সাধুবাদ জানাব, নয় তো সমালোচনা করব।
গণমাধ্যমের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অনেকেই ব্যথিত হয়েছেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে, আবার অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তবে বিএনপির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি বলতে পারে তারা ক্ষমতায় নেই। তবে ক্ষমতায় না থেকেও এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে দাঁড়ানো যেত, ভূমিকা রাখা যেত। বিএনপি কি এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পেরেছে? বিএনপির নেতাকর্মী কি এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে কথা বলেছেন?
সভায় ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক কামাল আহমেদ, ইউএনবি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, বিবিসির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি কাদির কল্লোল, এটিএন বাংলার পরিচালক বার্তা হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষার, আশরাফ কায়সার, কাজী জেসিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসান, নয়াদিগন্তের সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাবর, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মারুফ কামাল খান, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিবিসির সম্পাদক লোটন একরাম, দীপ্ত টিভির হেড অব নিউজ এস এম আকাশ, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মাছরাঙা টেলিভিশনের রেজোয়ানুল হক রাজা প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়া উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাদী আমীন, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আতিকুর রহমান রুমন, মীর হেলাল, মোর্শেদ হাসান খান, শাম্মী আখতার, ফারজানা শারমিন পুতুল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এটিএম শামসুর ইসলাম প্রমুখ।
ইউটি/টিএ