সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে উন্নয়ন ও টেকসই সমাজের পূর্বশর্ত এমন মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) অডিটরিয়ামে প্রজেক্ট ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘স্মরণাতীত কাল থেকে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিবেশ বিরাজমান।
তবে সমাজের কিছু মানুষ নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সরকার সবার নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর।’
তিনি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে একতা সুসংহত করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত নারী-শিশুদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নৈতিক ও আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।’
এ প্রকল্পসমূহকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া প্রকল্পের অর্থ যাতে যেনতেনভাবে ব্যয় না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
ড. খালিদ বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিশেষ দলের প্রতি টান থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যখন কোনো দায়িত্ব নেব তখন নিরপেক্ষভাবে কাজ করব; পেশাদারি, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
দেশকে উন্নত করতে হলে দলবাজি ও গ্রুপিংয়ের মানসিকতা পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। এনএপিডির মহাপরিচালক (সিনিয়র সচিব) সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এনএপিডির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সায়মা আফরোজ এবং এনএপিডির উপপরিচালক ও কোর্স পরিচালক আবেদা সুলতানা বক্তৃতা করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, আইএমইডি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, জিওবির অর্থায়নে ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ হাজার ৪০০টি মন্দিরে প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
আইকে/টিএ