‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়…’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। প্রেমিক সুকেশ চন্দ্রশেখরের জন্য থানা-পুলিশ, আদালত অবধি করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। প্রেমের টানে কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিতর্কে জড়িয়ে বলিউডের শক্ত পায়ের তলার মাটিও খোয়াতে বসেছেন জ্যাকুলিন! তবুও ওই গানের কথা ধার করে নিয়েই সুকেশ-জ্যাকুলিনের জন্য বলতে হয়, ‘প্রেম যে কাঁঠালের আঠা লাগলে ছাড়ে না।’ এবার বড়দিন উপলক্ষে সুকেশ চন্দ্রশেখর যা করলেন, তাতে তাজ্জব হতে হয়! জেলে বসেই জ্যাকুলিনের জন্য লস অ্যাঞ্জেলসের আস্ত একটা প্রাইভেট ভিলা উপহার দিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর ‘বেবি গার্ল’-এর জন্য রোম্যান্টিক চিঠি।
বছর খানেক ধরে জেলে থাকলেও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের প্রতি তাঁর প্রেমে কোনও ভাঁটা পড়েনি। সেখান থেকেই প্রেয়সীর জন্য় কখনও বহুমূল্য উপহার আবার কখনও বা প্রেমমাখা চিঠিপত্র পাঠিয়েছেন। গত প্রেমদিবসেও জ্যাকুলিনকে উড়োজাহাজ উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। এবার ক্রিসমাস উপলক্ষে অভিনেত্রীকে যে বিলাসবহুল বাংলো উপহার দিলেন বিদেশে, সেটা আস্ত প্রাসাদ বললেও অত্যুক্তি হয় না! রয়েছে নিজস্ব গলফ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল-সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নানা আসবাব। সুকেশ বলছেন, এই বাংলো দেখে নাকি খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হিংসে করবেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে।

প্রতিবারের মতো এবারেও জ্যাকুলিনকে ‘বেবি গার্ল’ বলে সম্বোধন করেই দু পাতার চিঠি লিখেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেখানে লেখা- “তোমাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই ‘বেবি’। এটা সেই উৎসব যা সবসময় আমাকে তোমার সঙ্গে কাটানো বিশেষ সব মুহূর্ত মনে করিয়ে দেয়। তোমার প্রতি আমার যে এই উন্মাদ ভালোবাসা, সেটা মনে করিয়ে দেয় ক্রিসমাস। তবে আমার দুঃখ হচ্ছে যে এই বিশেষ দিনে উপহার পেয়ে তোমার মুখের হাসিটা দেখতে পেলাম না। আমাদের প্রেমের গৌরবময় আখ্যান হিসেবে তোমাকে একটা ভালোবাসার বাড়ি উপহার দিলাম। বেভারলি হিলসে তোমার-আমার নতুন বাড়ি। ঠিক যেমনটা তুমি চেয়েছিলে তার থেকেও ভালো।” এখানেই অবশ্য থামেননি সুকেশ।
জ্যাকুলিনের ‘জেলবন্দি জাবরা প্রেমিকে’র সংযোজন, “তুমি হয়তো ভেবেছিলে এই বাড়ি বানানোর কাজ শেষ হবে না। তবে দেখো আমরা যেরকম প্ল্যান করেছিলাম, তার থেকেও ভালো দেখতে হয়েছে এই বাংলোটা। আমি হলফ করে বলতে পারি, এই বাংলোটা পুরো আমেরিকার মধ্যে অনন্য। আমি নিশ্চিত, ভাই ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিজের বাসভবনের সঙ্গে তুলনা টেনে হিংসে করবেন।” খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দুকরা বলছেন, ‘কলির শাহজাহান-মুমতাজ’।
কেএন/টিএ