দেশের বৃহত্তম দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছরের অধিক সময় নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন। আল জাজিরা, রয়টার্স, ক্রাইসিস গ্রুপ এবং দ্যা হিন্দুসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার প্রত্যাবর্তনের খবর বিশেষ গুরুত্ব পায়।
তারেক রহমানকে সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান দীর্ঘদিন লন্ডনে অবস্থান করার পর দেশে ফিরেছেন এমন এক সময়, যখন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। রয়টার্সের মতে, বিএনপি এখন নির্বাচনে সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে এবং তারেক রহমানকে সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আল জাজিরা জানায়, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫০ লাখ সমর্থকের সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, তারেক রহমানই আসন্ন নির্বাচন পরবর্তী সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সতর্ক করে বলেছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করায়, রাজনৈতিক মাঠে বিএনপি স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ নিরাপত্তা ও যানবাহন ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে।
রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দিনের বেলায় টোল মওকুফ করা হয়েছে। তারেক রহমান তার অসুস্থ মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতেও হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা হবে একটি ‘রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা আসন্ন নির্বাচনের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উল্লেখ করেছে।
সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বিশ্লেষণে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে শুধু ব্যক্তিগত বা দলীয় ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশের আগামী রাজনৈতিক অধ্যায়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এমকে/টিএ