কাম্বোডিয়া সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংস নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে থাইল্যান্ড। দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থাপনাটি কোনো নিবন্ধিত ধর্মীয় স্থান ছিল না বলেও জানিয়েছে তারা। খবর এনডিটিভির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, থাই সেনাবাহিনীর একটি ভেকু দিয়ে মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে থাই-কাম্বোডিয়ান বর্ডার প্রেস সেন্টার বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ধর্ম, বিশ্বাস বা কোনো পবিত্র সত্তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার জন্য এ কাজ করা হয়নি। বরং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বাধীন এলাকায় পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য।’
বিবৃতিতে থাইল্যান্ড জানায়, তারা সব ধর্ম ও বিশ্বাসকে সম্মান করে। তবে এই ঘটনায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে যদি কারও অস্বস্তি হয়ে থাকে, সে জন্য তারা ‘আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ’ করছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের মুখপাত্র লিম চানপানহা দাবি অনুযায়ী মূর্তিটি কাম্বোডিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরেই অবস্থিত ছিল। তার মতে, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভেঙে ফেলা হয়। এটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) দূরে ছিল।
এদিকে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মূর্তি ধ্বংসের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। এ ধরনের ‘অসম্মানজনক’ কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে উল্লেখ করে দেশটি বলেছে, ‘এগুলো হওয়া উচিত নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত শুরুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে সে যুদ্ধবিরতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলতি মাসে এবার সংঘাতে জড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী।
এসএস/টিএ