৩০ দিনে মক্কা ও মদিনায় ৬ কোটি ৯০ লাখ মুসল্লির আগমন

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত দুই পবিত্র মসজিদ, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে এক মাসে প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ মুসল্লি ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। জুমাদিউস সানি মাসে এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় ২১ লাখ বেশি।

সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধান কর্তৃপক্ষ জানায়, হিজরি ১৪৪৭ সনের জুমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী পরিদর্শন করেছেন।

কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এ সময় প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি মসজিদুল হারামে ইবাদত করেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন ঐতিহাসিক মাতাফ এলাকায় নামাজ আদায় করেন। একই মাসে মদিনার মসজিদে নববীতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য যান ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এছাড়া রাসুলের রওজায় প্রবেশের সুযোগ পান ১৩ লাখ মুসল্লি। মহানবী (সা.) এবং তার দুই সাহাবির কবর জিয়ারত করেন আরও ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু জুমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। উন্নত সেবা, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধার কারণে ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলে জানানো হয়।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ওই মাসে সৌদি আরবের বাইরে থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। ডিজিটাল সেবা ও সমন্বিত লজিস্টিক ব্যবস্থার ফলে আগমন প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ইবাদত করার সুযোগ বাড়ায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দুই পবিত্র মসজিদে মুসল্লি ও ওমরাহ যাত্রীর এই বাড়তি উপস্থিতি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারত আরও সহজ ও নিরাপদ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় কাজ করছে দেশটি। যাত্রা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সৌদি আরব ত্যাগ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় মুসল্লিদের স্বস্তি ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধান কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সেবার মান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল ও পরিচালনাগত ব্যবস্থার উন্নয়ন করে মুসল্লি ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য আরও সহজ, সুশৃঙ্খল ও প্রশান্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন গ্রেপ্তার Dec 27, 2025
img
নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 27, 2025
img
চিংড়ি রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার Dec 27, 2025
img
উইকেটের কারণে দ্রুত এগিয়েছে ম্যাচ: রুটের মন্তব্য Dec 27, 2025
পরামর্শ বরকতময় করার উপায় Dec 27, 2025
img
মাত্র ১৩২ রানে থেমে গেল রাজশাহী ওয়ারিয়র্স Dec 27, 2025
img
'খুদে মেসি' সেই সোহান চান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ Dec 27, 2025
img
ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার হচ্ছেন তারেক রহমান: ইসি সচিব Dec 27, 2025
img
থার্টি ফার্স্ট নাইটের পার্টিতে রাখতে পারেন 'কাসুন্দি মুর্গ টিক্কা' Dec 27, 2025
img
আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডারের Dec 27, 2025
img
নির্বাচনে দেশপ্রেমিকরা সহযোগিতা করবে : উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান Dec 27, 2025
img
সিলেটের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে কোচ জাকির জানাজা Dec 27, 2025
img
শ্বশুরের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান Dec 27, 2025
img
বান্দরবানে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জাল নোট উদ্ধার Dec 27, 2025
img
লেনদেন কমলেও বাজার মূলধন হাজার কোটি টাকা Dec 27, 2025
img
জাকির মৃত্যুতে ঢাকা ক্যাপিটালসের গভীর শোক প্রকাশ Dec 27, 2025
img
শুধু লোক বদলে দিলে দেশ বদলাবে না, সিস্টেম বদলাতে হবে : রিজওয়ানা হাসান Dec 27, 2025
img
প্রিয় অভিভাবক আর নেই, বিশ্বাস করতে পারছেন না শরিফুল Dec 27, 2025
img
নির্বাচনে ভোট দিতে ২ লাখ ৯৩ হাজার প্রবাসীর কাছে ব্যালট প্রেরণ Dec 27, 2025
img
স্থায়ীভাবে শয্যাশায়ী হয়ে যাওয়ার দুঃশ্চিন্তা চেপে বসেছিল সাইফের মনে Dec 27, 2025