রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান মনে করেন, আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)–এর দ্বাদশ আসরের আগে দলে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের অন্তর্ভুক্তি দলের জন্য বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব এনেছে।
শুক্রবার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সোহান জানান, সিনিয়র এই অলরাউন্ডার দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পের পরিবেশ অনেক চাঙা হয়ে উঠেছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সিলেটে চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে রংপুর রাইডার্স।
এদিন প্রথমবারের মতো রংপুরের অনুশীলনে যোগ দেন মাহমুদ উল্লাহ।
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য হিসেবে শুরু থেকেই তাকে দেখা যায় দারুণ প্রাণবন্ত ও সক্রিয়। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সমান তালে অনুশীলন করে নিজের উপস্থিতির জানান দেন তিনি।
মাহমুদ উল্লাহর ফিটনেস ও প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সোহান বলেন, ‘রিয়াদ ভাই খুব ভালো অবস্থায় আছেন। আজ প্রথম অনুশীলনে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দল আরও বেশি উজ্জীবিত হয়েছে।
দলের মধ্যে মাহমুদ উল্লাহর প্রভাব ও পেশাদার মানসিকতার কথাও তুলে ধরেন রংপুর অধিনায়ক। ‘রিয়াদ ভাই একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। তিনি অনুশীলনে যোগ দেওয়ার পর দলও অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে ভালো করার মানসিকতা তার আছে এবং দলের জন্য অবদান রাখতে চান।
তার নিবেদন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফলাফল সব সময় আমাদের হাতে থাকে না, কিন্তু তার পরিশ্রম আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা,’ যোগ করেন সোহান।
বছরের পর বছর শক্তিশালী দল গড়েও নকআউট পর্বে রংপুরের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে বিদেশি খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়ার অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
‘বিদেশি খেলোয়াড়দের আগমন ও বিদায়ের সমস্যা প্রায়ই থাকে। এ বছর আমরা চাই পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে এক দল হিসেবে খেলতে।
বারবার পরিবর্তন হলে দলের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা কঠিন হয়ে যায়। তাই আমাদের মূল লক্ষ্য একসঙ্গে দল হিসেবে খেলা,’ বলেন সোহান।
এ সময় নেতৃত্ব প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হলে, বিশেষ করে জাতীয় দলের অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে তুলনা নিয়ে, সোহান বলেন,
‘এখন যেহেতু বিপিএল খেলছি, পুরো মনোযোগ বিপিএলেই থাকবে। ছয়টি দলই ভারসাম্যপূর্ণ। মাঠে পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিপিএল শেষে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবার সময় থাকবে। যদি ভালো একটি টুর্নামেন্ট কাটে, তাহলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’
আরআই/টিএ