দেশের শিল্প ও অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তরুণ প্রকৌশলীদের প্রচলিত জ্ঞানের গণ্ডি পেরিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেবল ডিগ্রি অর্জনই যথেষ্ট নয়, বরং জাতীয় প্রয়োজনে তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী সমাধান দিতে হবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. সি আর আবরার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের উন্নয়নে বুটেক্সের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রমাণ করেছে যে বিশেষায়িত শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে। বুটেক্স আজ বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ, সৎ ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরির এক নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক বস্ত্র শিক্ষার শতবর্ষী ঐতিহ্যের স্মৃতিচারণ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ১৯১১ সালে জেলা উইভিং স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে যাত্রার সূচনা হয়েছিল, তা বিভিন্ন ঐতিহাসিক পর্যায় অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেছে।
সমাবর্তনে সদ্য স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ড. আবরার বলেন, ‘আপনারা কেবল একটি ডিগ্রির অধিকারী হননি, বরং আপনারা একটি গৌরবময় উত্তরাধিকার এবং দেশের ভবিষ্যৎ শিল্প ও অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব বহন করছেন। সততা, পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করে দেশের প্রয়োজনে উদ্ভাবনী সমাধান দেওয়াই হবে আপনাদের প্রধান অঙ্গীকার।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির চেয়ার প্রফেসর (ফাইবার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) ড. স্যাংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বুটেক্সের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, শিক্ষক, আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এবি/টিকে