বছর শেষের মুখে বলিউডে আবারও চাঞ্চল্য। একের পর এক তারকার প্রাণনাশের হুমকির খবরের মাঝেই এবার আলোচনার কেন্দ্রে আমির খান। নিজে নীরব থাকলেও তাঁর ভাগ্নে ইমরান খানের বিস্ফোরক মন্তব্য নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে সিনেদুনিয়ায়। ইমরানের কথায় উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের চাপ, ভয়ের পরিবেশ আর অদৃশ্য হুমকির গল্প, যা নাকি বছরের পর বছর ধরে ঘিরে রেখেছে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’কে।
ইমরান জানান, আমির সব সময় কাজের মাধ্যমে সমাজের অসংগতি তুলে ধরতে চেয়েছেন। টেলিভিশনের পর্দায় ‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠান পরিচালনার সময় তিনি কন্যাভ্রূণ হত্যা, শিশুদের যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, পুরুষতন্ত্র, সামাজিক বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার মতো স্পর্শকাতর বিষয় সামনে আনেন। সমাজের অস্বস্তিকর সত্য তুলে ধরার সেই সাহসই নাকি অনেকের চোখে কাঁটা হয়ে ওঠে। তখন থেকেই শুরু হয় বিরাগ, কটাক্ষ আর হুমকির অধ্যায়।
ইমরানের কথায়, এসব বিতর্ক আমির কখনও চাননি। বরাবরই তিনি আলোচনার বাইরে থেকে নিজের কাজ করতে পছন্দ করেন। তবু বাস্তবতা তাঁকে টেনে এনেছে সংঘাতের কেন্দ্রে। ভাগ্নের দাবি, শুধু খুনের হুমকিতেই থেমে থাকেনি বিষয়টি, বরং কিছু মহল দীর্ঘদিন ধরে আমিরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারা সেই মানুষগুলো, কেনই বা এই চাপ—সেসব প্রশ্নের উত্তর যদিও তিনি খোলসা করেননি।
এক সময় বক্স অফিসে একের পর এক সাফল্যের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমিরের কেরিয়ারে ভাটা পড়েছে। বিতর্ক, বয়কট আর ব্যর্থতার চাপের মধ্যেও তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে যে ভয় কাজ করছে, ইমরানের কথায় সেটাই প্রথম প্রকাশ্যে এল। এই মন্তব্যের পর থেকেই বলিউডে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে—তারকাদের নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর তার মূল্য নিয়ে।
ইমরানের এই স্বীকারোক্তি যেন বছরশেষে নতুন প্রশ্ন ছুড়ে দিল সিনে জগতে। নীরব আমির কি এবার মুখ খুলবেন, নাকি আগের মতোই সবকিছু সহ্য করে কাজের আড়ালেই থাকবেন—সেই অপেক্ষাতেই তাকিয়ে আছে দর্শক আর ইন্ডাস্ট্রি।
এমকে/টিএ