গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা ও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে আসায় রাজশাহী অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে জেলার আকাশে কুয়াশা ও মেঘ ছিলো। তাই সকালেই সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়া বইতে থাকায় শীতে স্থবির জনজীবন। এ দিকে শীতের তীব্রতায় নগর ও গ্রামের ছিন্নমূল এবং নিম্নবিত্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন অনেকে। গরম কাপড়ের অভাবে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তীব্র শীতে জুবুথুবু জনজীবন। মানুষজন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। শুষ্ক আবহাওয়া ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এর প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই রাজশাহীতে হিমেল হাওয়া বেড়েছে। তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। উত্তরের এই হিমেল হাওয়া আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
এসএস/এসএন