মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার জীবনসঙ্গী বা পার্টনার। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, একজন আশাবাদী জীবনসঙ্গীর উপস্থিতি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে এবং এটি আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে জ্ঞানীয় অবনতি দেখা দেয় তা ধীর করতেও সহায়তা করতে পারে একজন ইতিবাচক জীবনসঙ্গী।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুসারে, যাদের জীবনে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তাদের মধ্যে এমন সব স্বাস্থ্যকর আচরণের প্রবণতা রয়েছে, যা জ্ঞান সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফলে তাদের সঙ্গীদের দৃষ্টিভঙ্গিও এর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মানসিক স্বাস্থ্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল এবং মনের অভ্যন্তরে যা ঘটে তা আমাদের শরীরের বাকি অংশগুলিতে প্রতিফলিত হয়। আমাদের বয়স বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতাগুলির প্রাকৃতিক অবনতি ঘটতে থাকে। অন্যদিকে, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন: খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, যেসব ব্যক্তি জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন এবং সাধারণত আশাবাদী, তারা স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন। তারা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন এবং প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবাতে বিশ্বাসী। এই স্বাস্থ্যকর আচরণগুলি মস্তিষ্ককে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ রাখতে পারে, যার ফলে জ্ঞানীয় অবনতির ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ইতিবাচক জীবনসঙ্গী তার অপর সঙ্গীটিকেও আশাবাদী করে তোলেন এবং তার বিভিন্ন ইতিবাচক আচরণ তার সঙ্গীটির মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। এভাবেই ইতিবাচকতা জীবনসঙ্গীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
অন্যদিকে একজন নিরাশাবাদী জীবনসঙ্গীর উপস্থিতি আমাদেরকে হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস