চুল আমাদের অমূল্য সম্পদ। প্রয়োজনীয় পরিচর্যার অভাবে চুল রুক্ষ, শুষ্ক বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, দেখা দিতে পারে চুলের বিভিন্ন সমস্যা। সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখতে চাইলে চুলের যত্নে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
সময়ের অভাবে অনেকেই চুলের প্রতি যত্নশীল হতে পারেন না। কিন্তু একটু সচেতন হলেই সৌন্দর্যবর্ধনের প্রাকৃতিক এই নিয়ামকটির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
আসুন জেনে নিই, চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার সাতটি উপায়-
হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শ্যাম্পুতে এসএলএসের মতো রুক্ষ কোনো রাসায়নিক নেই তা নিশ্চিত করুন। এসএলএসমুক্ত শ্যাম্পু হালকা এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ক্ষতি না করেই চুল পরিষ্কার করে। চুলে খুশকি না থাকলে অকারণে অ্যান্টি-ডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন
মাথার ত্বক শুষ্ক হলে এই শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। চুলের গোঁড়া শক্তিশালী করতে এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করতে রাতে ঘুমানোর আগে চুলে তেল ব্যবহার করুন এবং সকাল বেলা ধুয়ে নিন। তেলের ম্যাসেজ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং চুলের গোড়ালিতে সরাসরি পুষ্টি সরবরাহ করে।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন
অ্যালোভেরা জেল অতিরিক্ত সেবাম সরিয়ে দেয়, চুলকানি উপশম করে এবং সেবামের অতিরিক্ত উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। মাথার ত্বক ও চুলে অ্যালোভেরা ঘষুন, যাতে এটি চুলের ফলিকলে প্রবেশ করতে পারে। ১৫-২০ মিনিট রাখার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে জেলটি ধুয়ে ফেলুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
পানি গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, এটি শরীর থেকে যেকোনো বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করবে। চুল ও মাথার ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুলে প্রয়োজনীয় ভিটামিনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ সরবরাহ করতে বেশি করে ফল খান।
রোদ থেকে বেঁচে থাকুন
প্রচণ্ড রোদে অতিরিক্ত ঘোরাঘুরি আপনার চুলের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। অতিরিক্ত রোদে চুল ও মাথার ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে, চুল ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন।
চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করুন
ডিপ কন্ডিশনিং থেরাপি চুলের শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং চুলকে প্রাণবন্ত করে তোলে। অ্যাসেনশিয়াল ওয়েল মিশ্রিত মাস্ক ব্যবহার চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিশ্চিত করার এক দুর্দান্ত উপায় হতে পারে।
নিয়মিত চুল কাটুন
অতিরিক্ত শুষ্কতায় চুল ফেটে যেতে পারে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর চুল ফেটে যাওয়া অনিবার্য। তাই চুল নিয়মিত ছাঁটাই করুন। এতে করে আপনার চুল সুস্থ দেখাবে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
টাইমস/এনজে/জিএস